আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে আসতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে

নিজস্ব সংবাদদাতা : আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে আসতে পারেন বলে খবর। তার জেরেই বিভিন্ন কাজ তরান্বিত করতে জেলা প্রশাসনিক স্তরে তোড়জোড় শুরু হয়েছে।

    প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বিশেষ করে স্বাস্থ্য দফতরে বস্তি এলাকায় চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থার উন্নতি-সহ জেলার যে সমস্ত উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে সেই সমস্ত কাজগুলি তরান্বিত করার জন্য জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা প্রতিনিয়ত এলাকায় ঘুরছেন। সেই সঙ্গে জেলা পরিষদের উদ্যোগে ব্লক স্তরে জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোভিড রোগীদের জন্য আইসোলেশন কেন্দ্রগুলিও দ্রুততার সঙ্গে নির্মাণের কাজ চলছে।বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার অধীন রামপুরহাট ও নলহাটি দুই পুরসভা এলাকায় নতুন স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। ভবন নির্মাণ না হওয়ায় আপাতত ঘরভাড়া নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি চালু করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির ভবন নির্মাণের জন্য করেছে পুরসভা জায়গা চিহ্নিত করে দেওয়ার পরে স্বাস্থ্য দফতর থেকে ওই ভবনগুলি নির্মাণ কাজ চলছে। কাজগুলিকে তরান্বিত করার জন্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের প্রতিনিয়ত তদারকি চলছে।সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতর জানায় রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার অধীন রামপুরহাট পুরসভা এলাকায় ৪টি ও নলহাটি পুরসভা এলাকায় ৩টি মোট ৭টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। সেই সমস্ত সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি নির্মাণের কাজও দ্রুততার সঙ্গে শেষ করার জন্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা এলাকায় পরিদর্শন করছেন। জেলা এক আধিকারিক বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির ভবন নির্মাণের গতি আনা হচ্ছে।’’রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অমিতাভ সাহা জানান, মূলত শহরের মধ্যে বসবাসকারী বস্তি এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতির পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও ৫ হাজার জনসংখ্যা পিছু উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি ভেঙে নতুন করে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ চলছে। এ ছাড়া জেলা পরিষদ থেকে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার অধীন মুরারই ২ ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ময়ূরেশ্বর ২ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোভিড আইসোলেশন কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ চলছে।বীরভূম স্বাস্থ্য জেলাতেও বিভিন্ন নতুন করে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার পাশাপাশি পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় স্বাস্থ্য জেলার অধীন বিভিন্ন সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ চলছে বলে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি জানান। জেলা পরিষদ থেকে লাভপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোভিড আইসোলেশন কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ তরান্বিত করা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে।তবে পাঁচ মাস আগে বগটুই কাণ্ডে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা অগ্নিদগ্ধ রোগীদের দেখতে মুখ্যমন্ত্রী যখন এসেছিলেন, তখন হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য যে সমস্ত দাবিগুলি কর্তৃপক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দিয়েছিলেন সেগুলি নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। মা ও শিশু হাব এবং এমআরআই সেন্টার নির্মাণের ব্যাপারে এখনও স্বাস্থ্য ভবনের অনুমোদন মেলেনি বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি।