|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা :মানুষের ভাগ্য কখন যে বদলে যাবে তা কেউ বলতে পারে না। মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত সবাই চায় নিজের ভাগ্য বদলাতে। ভাগ্য পরীক্ষার জন্য অনেকেই লটারি কাটতে পছন্দ করেন। কেউবা প্রতিনিয়তই লাগাতার লটারি টিকিট কাটেন আবার কেউ মাঝেমধ্যে কখনো সখনো নিজের ভাগ্যকে পরখ করার জন্য লটারি কাটেন। ঠিক তেমনি নদিয়া রানাঘাট থানার অন্তর্গত পায়রাডাঙ্গা উকিল পাড়ার বাসিন্দা জগন্নাথ মন্ডল।পেশায় তিনি একজন ভিলেজ রিসোর্স পারসন হিসেবে মাসে ৫০০০ টাকা বেতনে চাকরি করেন। এত কম মাইনেতে ঠিক মতো সংসার চলত না লটারি কাটা তো দূর। তবুও মাঝেমধ্যে কেউ কখনো জোর করলে তিনি কখনও লটারি টিকিট কাটতেন। তবে সেটা টাকার লোভে নয় বিক্রেতাকে আর্থিক সাহায্য করার উদ্দেশ্যেই তিনি টিকিট কাটতেন বলে জানান।
বুধবার দুপুরে স্থানীয় এক চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন জগন্নাথ মন্ডল। স্থানীয় এক লটারি বিক্রেতা তাকে কিছু লটারি টিকিট কিনতে বলেন। অনেকদিন ধরেই সেই লটারির টিকিট বিক্রেতা আবদার করার জন্য শেষমেষ তিনি কিনে ফেললেন লটারি টিকিট। আর তারপরেই এখন বাকিটা ইতিহাস! ওই লটারির টিকিটের প্রথম বিজয়ী হিসেবে যে তিনিই হবেন তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি জগন্নাথ মন্ডল। বুধবার বিকেলে লটারির রেজাল্ট বেরোনোর পর তিনি জানতে পারেন তার টিকিটে প্রথম পুরস্কার বেঁধেছে। তাও এক দু লক্ষ টাকা নয় পুরো এক কোটি টাকা! খবরটি শুনেই তিনি আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন চোখ দিয়ে বেরিয়ে আসে জল। বিষয়টি তৎক্ষণাৎ বাড়ি গিয়ে তিনি তার স্ত্রীকে জানান। তার স্ত্রীও আনন্দে কেঁদে ফেলেন।জগন্নাথ মন্ডল সিদ্ধান্ত নেন লটারি টাকা হাতে পেলে প্রথমেই তিনি তার বাড়ির পাশে কালী মন্দির টিকে আরও বড় করে সংস্কার করবেন এছাড়াও কিছু টাকা সামাজিক কাজেও ব্যয় করবেন। তার নিজের কোন সুপ্ত ইচ্ছা নেই তবে তার ইচ্ছে তার দুই সন্তানকে উচ্চ শিক্ষিত করে তুলবে ওই টাকা দিয়ে যাতে ভবিষ্যতে তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। জগন্নাথ মন্ডল জানিয়েছে, ” লটারি টিকিট কাটার অভ্যাস আমার কোনদিনই ছিল না, মাঝেমধ্যে ওই ছেলেটি এসে ৩০ টাকার লটারির টিকিট দিয়ে যেত। বুধবারেও কেটেছিলাম তবে সেটা বাঁধবে ভাবিনি।” মাত্র ৩০ টাকায় ভাগ্য বদল হয়ে গেল রানাঘাটের বাসিন্দা জগন্নাথ মন্ডলের।