দরিদ্রকে জয় করে রাজ্যে ফাজিলে পঞ্চম স্থান দখল করে চমক সৃষ্টি করেছে জাকিয়া সুলতানা

নতুন গতি, মধ্যমগ্রাম: শক্তি দিয়েই পৃথিবীর সব কিছুকে জয় করা যায় । মেধাই আসল চালিকা শক্তি । মেধাকে সম্বল করে বিশ্বের তাবড় তাবড় মানুষ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে । আজকের দিনে তার ব্যতিক্রম নেই । দেশের অধিকাংশ মেধাবী সন্তানরা দারিদ্রকে জয় করেই নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করেছে ।

    একই রকম ঘটনা দেখা গেল হুমাইপুর সিনিয়র মাদ্রাসার ক্ষেত্রেও । বাবা খারেজি মাদ্রাসার শিক্ষক , বেতন পান অল্প । তাতে কি! মেয়ে তো প্রতিভাধর ? আর সেই প্রতিভার জোরে আজ মাদ্রাসা বোর্ডের ফলে ফাজিলে রাজ্যের মধ্যে পঞ্চম স্থান দখল করে সবাইকে চমকে দিল মেয়ে জাকিয়া সুলতানা । জাকিয়ার উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম পৌরসভার অন্তর্গত নূরুন্নবী সিনিয়র মাদ্রাসার ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা। প্রাপ্ত নম্বর ৫৩৮/৬০০।
    উল্লেখ্য সেই্ রাজ্যে পঞ্চম হলেও উঃ ২৪ পরগনা জেলার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।

    নূরুন্নবী সিনিয়র মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম মোল্লা বলেন জাকিয়া সুলতানা আমাদের মাদ্রাসার গর্ব, রাজ্যে ফাজিল পরীক্ষায় পঞ্চম হয়ে নুরুন্নবী সিনিয়র মাদ্রাসার নাম উজ্জ্বল করলো।

    বাংলার শিক্ষক সাকির আহমেদ বলেন, শিক্ষক শিক্ষিকা দের অনুগত ছিল জাকিয়া সুলতানা। তার এই সাফল্যে আমরা খুবই খুশি।

    তার মা মনিরা বিবি পেশায় গৃহবধূ, তিনি মেয়ের এই সাফল্যে আল্লাহকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, বরাবরই জাকিয়া সুলতানা খুবই মেধাবী ছিল। প্রতিটি ক্লাসে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। ফাজিলে রাজ্যে পঞ্চম হয়ে আমাদের সকলের মুখ উজ্জ্বল করলো। আমরা খুবই গর্বিত।

    ফাজিল পরীক্ষায় রাজ্যে পঞ্চম জাকিয়া সুলতানা বলেন, সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে সে আরবী ভাষা বিষয়ে গবেষণা করতে ইচ্ছুক।