|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে করোনা সংক্রমণ, ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা, তবেএর মাঝেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু। ক্রমশ ডেঙ্গু আক্রান্ত সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগ। সেইমতো জেলায় চলছে ডেঙ্গু সতর্কবার্তা এবং বিভিন্ন কর্মসূচি। হাওড়া জেলার পাঁচলা জলাবিশ্বনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শনিবার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রনে এলাকার মানুষকে সচেতন করতে লিফলেট বিলি লার্ভা নিয়ন্ত্রণে স্প্রে, পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে মশারী লাগিয়ে রাতে ও দিনে সাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ মত মশারী ব্যবহার করার পরামর্শ, বাড়ির আনছে-কানাচে উঠান কোনো পাত্রে বর্ষার সামান্য জমা জলে মশা জন্মাতে পারে , টবে জল জমে মশা জন্মাতে পারে একাধিক বিষয়ে সচেতন বার্তা। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের তৎপর স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশ মত প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ভিআরপি কর্মীরা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে মানুষকে সচেতন করতে সতর্ক মূলক বার্তা দিচ্ছেন মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে, পথে ঘাটে লাগানো হচ্ছে ডেঙ্গু সতর্কীকরণ পোষ্টর।শনিবার জলাবিশ্বনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিআরপি কর্মীদের সঙ্গে এলাকা পরিদর্শন করলেন জলাবিশ্বনাথপুর পঞ্চায়েত প্রধান আসলাম মোল্লা। তিনি জানান, ডেঙ্গু দমনে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সতর্কতা জোরদার করা হয়েছে। এই পঞ্চায়েত নদী-নালা খাল বিল বদ্ধ-জলাশয়ের সংখ্যা অতিরিক্ত তাতে মশা জন্মানোর পরিবেশ তৈরি হতে পারে। তবে সেই দিক গুরুত্ব রেখে পঞ্চায়েত পক্ষ থেকে বিশেষভাবে নজরদারি করা হচ্ছে।প্রতিটি সংসদ ভিআরপি (VRP) কর্মীরা পৌঁছে যাচ্ছেন সতর্ক বার্তা নিয়ে, তাদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতায় রয়েছে আশা কর্মী (ASHA KORMI), এবং সহযোগিতা করছেন এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য তারাও এ বিষয়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। বাড়ি বাড়ি মানুষকে সচেতন এবং ভিসি টি (VCT) নির্দেশ মত এলাকায় মশা দমনে স্প্রে করছেন। গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানাযায়, গত দুদিন আগে পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় মশার লার্ভা জন্মাতে পারে এমন জলাশয় চিহ্নিত করে ছাড়া হয়েছে কয়েক হাজার গাপ্পি মাছ। পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকায় প্রান্তিক মানুষের বসবাস, সেই সমস্ত এলাকা পাখির চোখ করে নজরদারি চলছে।পঞ্চায়েত প্রধান জানান, ডেঙ্গু নিধন করতে বিডিও অফিসের পক্ষ থেকে যথাপ্রযুক্ত সহযোগিতা এবং বিভিন্ন নির্দেশিকা দিচ্ছেন সেই মতোই পঞ্চায়েত কাজ করছে। পঞ্চায়েতের বহু এলাকায় এমন রয়েছে যেখানে নালা,খাল, বিল জলাশয় এবং জলাভূমি এখনও বর্ষায় পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ার ফলে কোথাও কম বেশি জল জমে রয়েছে। সেই আবদ্ধ জলে মশা জন্মাতে পারে। ফলে এখনও বর্ষায় পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় চিন্তার কারণ।