|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : জামালপুর কলেজের অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের টেবিল চাপড়ে হুমকি। জামালপুরের টিএমসিপির ব্লক প্রেসিডেন্ট বিট্টু মল্লিকের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ। ‘ক্লাসে চলুন, ক্লাস করান, দেড়টার পর পিরিয়ডে গেলে ছেড়ে কথা বলব না’, বলে হুমকি বিট্টু মল্লিকের। মহার্ঘ ভাতা সহ একাধিক দাবি নিয়ে আজ ২ ঘণ্টার কর্মবিরতিতে সামিল হল কলেজের অধ্যাপক ও অশিক্ষক কর্মীদের একাংশ। এদিন কর্মবিরতি চলাকালীন কলেজে ঘরে ঢুকে শাসানি এই টিএমসিপি নেতার। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য।দেবাংশু এদিন বলেছেন, দেখুন এগুলিতো করা যায় না। এগুলি বলাও যায় না শিক্ষক-শিক্ষিকা-অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা আমাদের সম্মানের জায়গা। একজন রাজনৈতিক সদস্য হিসেবে একথা তো কখনই বলা যায় না। আমি জানি না, তিনি কলেজের কোনওরকম দায়িত্বে আছে কিনা, কলেজের কোনও পরিচালন কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন কি না ? সেখানে থাকলেও শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে এইভাবে কখনই কথা বলা যায় না।প্রসঙ্গত, এর আগে রাজ্যের আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যকে হেনস্থার ইস্যুতে ‘ছাত্রনেতা’ গিয়াসউদ্দীনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছিল। শিক্ষার ক্ষেত্রে সেই ভিডিও দেখেছিল সারা বাংলা। যা নিয়ে রাতারাতি তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল রাজ্য। সেবারও অস্বস্তিতে পড়েছিল রাজ্যের শাসকদল। অভিযোগ ওঠার পরপরই তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছিল, ২০১৯ সালেই তাঁকে বহিঃষ্কার করেছে দল। এদিক ওই ঘটনা ঘটার কিছু দিন আগে তাহলে কীকরে তৃণমূলের মিছিলে তাঁকে দেখা গিয়েছিল বলেও প্রশ্ন তুলেছিলেন সেময় বিরোধীরা। তবে সেবার গিয়াসউদ্দীনকে ‘তৃণমূল নেতা’ বলায় আপত্তি ছিল শাসকদলের। ওই ঘটনার পর তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় গোটা ঘটনার খতিয়ান চেয়েছিলেন। এদিকে গিয়াসউদ্দীন এত বড় দুঃসাহস পেল কোথা থেকে, তাও নিয়েও একটি অডিও ভাইরাল হয়। যদিও এদিন এই ঘটনায় এমনটা কখনই বলা যায় না বলেই স্পষ্ট করেছেন তৃণমূলের নেতা দেবাংশু। তবে জামালপুরে টিএমসিপি নেতার হুমকির ঘটনায় এবার আগামী ২৪ ঘন্টায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব মুখ খুলবেন কিনা, তা নিয়ে চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলে।