জামুড়িয়ায় কিষাণ ক্ষেত-মজদুর তৃণমূলের কৃষক আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি

স্টাফ রিপোর্টার : পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল লোকসভার জামুড়িয়া ব্লক- ২ এর কিষাণ ক্ষেত-মজদুর তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের বিরোধীতায়, আন্দোলনে শহীদ কৃষকদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন সংগঠনের ব্লক সভাপতি লাল্টু কাজী, ব্লক সভাপতি সুকুমার ভট্টাচার্য, ব্লক মহিলা সংগঠনের সভানেত্রী পলি বাগচি, ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষে গৌর পাল, জেলা সদস্য গোপীনাথ পাত্র ও ব্লকের আটটি অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতিগণ। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার গতবছর তিনটি কৃষি আইন বানান। (এক) দ্য ফার্মার্স প্রোডিউস ট্রেড অ্যান্ড কমার্স (প্রমোশন অ্যান্ড ফেসিলিটেশন) অ্যাক্ট ২০২০ (দুই) দ্য ফার্মার্স (এম্পাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড প্রোটেকশন) এগ্রিমেন্ট অন প্রাইস অ্যাসিউরেন্স (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট ২০২০ (তিন) দ্য এসেন্সিয়াল কমোডিটিজ (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট ২০২০, আর এই তিন আইনের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনে সামিল হন কৃষক সমাজ । প্রায় এক বছর ধরে চলতে থাকা এই আন্দোলনে শহীদ হন সাতশো’র বেশি কৃষক। অবশেষে আইন গুলি প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বহু কৃষক পরিবার ভেসে গেছে অশ্রুজলে। আজ জামুড়িয়া ব্লক- ২ কিষাণ ক্ষেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি লাল্টু কাজী দলীয় কার্যালয়ের সম্মুখে অনুষ্ঠিত শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠানে বলেন, কৃষকরা জাতির গর্ব। দেশের মেরুদন্ড । আমরা আজ সেই মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়েছি, যাঁরা নিজের প্রাণ দিয়ে দেশকে কালা কানুনের হাত থেকে বাঁচালেন। তিনি আরও বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস আন্দোলনের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে। বিশেষ করে কৃষক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। তৃণমূল নেতা লাল্টু কাজী এদিনের সভায় কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট শহীদ কৃষক পরিবার গুলির জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহিলা সংগঠনের সভানেত্রী পলি বাগচি বলেন, কৃষকদের আন্দোলন দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন । তিনি বলেন, অন্নদাতাদের আন্দোলনে পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে কৃষক বিরোধী কেন্দ্রীয় সরকার। শ্রমিক নেতা গৌর পাল শহীদ কৃষক পরিবার গুলির প্রতি সমবেদনা জানান। তপসীর অঞ্চল সভাপতি রাজু মুখোপাধ্যায় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

    খনি-শিল্পাঞ্চলের জনবহুল কর্ম চঞ্চল এলাকায় অনুষ্ঠিত এই শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠানে ব্যাপক সমাগম হওয়ায় সাধারণ মানুষ কিছুটা অসুবিধার মধ্যে পড়েন। সাধারণ মানুষের কাছে এই জন্য ক্ষমা চেয়েছেন সংগঠনের সভাপতি লাল্টু কাজী।