জংলি বাবার মাজারে চাদর চড়ালেন পূর্ব বর্ধমানের সভাধিপতি শম্পা ধারা।

লুতুব আলি, বর্ধমান, ১৭ মার্চ : পূর্ব বর্ধমানের রায়না ১ নং ব্লকের অন্তর্গত মাঝখান্ডা গ্রাম। এই গ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক জংলি বাবার মাজার আছে। ১৬ মার্চ জংলি বাবার বার্ষিক ঔরস উৎসবে এসে চাদর চড়ালেন পূর্ব বর্ধমানের সভাধিপতি তথা রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারা। শম্পা ধারা জানান, রায়না ১ নং ব্লকের প্রাণের উৎসব এই জংলি বাবার ঔরস উৎসব সকলকে একাত্ম করে দেন। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, রাজনীতির রং ভুলে গ্রামের মানুষ এই ঔরস উৎসবে মেতে ওঠেন। উল্লেখ্য, এই জংলি বাবার মাজারের পাশেই একজন ধর্মপ্রাণ ব্রাহ্মণের মাজারও আছে। সূত্র মারফত জানা যায় : রায়না ব্লকের নাড়ুগ্রাম থেকে পায়ে হেঁটে গঙ্গাজল আনার জন্য মাঝখান্ডা গ্রামে তিনি বিশ্রাম নেন। সেই সময় সহ জংলি বাবার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হলে জংলি বাবাকে গঙ্গাজল আনতে যাওয়ার বিবরণ শোনান। জংলি বাবা তখন তাঁকে বলেন : এত কষ্ট করে সময় নষ্ট করে, কাঠ খড় পুড়িয়ে আর আপনাকে গঙ্গাজল আনতে যেতে হবে না। এখনই আপনাকে গঙ্গার পবিত্র জল তুলে দিতে পারি। এই কথা শুনে তিনি জংলি বাবাকে গঙ্গাজল দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। এই সম্মতি পেয়ে ই জংলি বাবা অলৌকিকভাবে মুহূর্তের মধ্যে তাঁকে গঙ্গা জলের জার ধরিয়ে দেন। এই অলৌকিক ঘটনা দেখে ধর্মপ্রাণ ব্রাহ্মণ তাঁর কাছে শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। সেই কারণেই জংলি বাবার মাজারের পাশেই ধর্মপ্রাণ ব্রাহ্মণের মাজার আছে। হিন্দু মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ মনের বাসনা নিয়ে এই মাজারে ও ঔরসে আসেন। এবং সেই সুক্ত মনের বাসনা ও পূরণ হয়ে যায় বলে দর্শনার্থী ও গ্রামবাসীদের অভিমত। এই ওর স উৎসবকে কেন্দ্র করে এলাকায় বিশাল মেলা বসেছে। গ্রামের মানুষ বাৎসরিক কেনাকাটা গুলি এই মেলা থেকেই করে নেন। ঔরস শুরুর দিনে ই চাদর চড়ানো, মিলাদুন নবী ফকিরি গান অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনদিনের অনুষ্ঠানে থাকছে বাউল গান, কাওয়ালী, যাত্রাপালা।