ধর্মীয় উৎসব সম্প্রদায়ের ভেদরেখা অতিক্রম করে:উনজিলা খাতুন শিল্পী

উনজিলা খাতুন শিল্পী(তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী):শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ভারতবর্ষের পরিচ্ছন্ন রাজনীতির অলঙ্কার, বাংলার অহঙ্কার দেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিবঙ্গ সরকারের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং তার বিশ্বস্ত হাতিয়ার বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মন্ডল, চেয়ারম্যান মাননীয় কৃষিমন্ত্রী ড. আশিস ব্যানর্জী, জেলা যুব সমাজের আইকন মানুষ গড়ার কারিগর বিধান চন্দ্র মাঝি, মুর্শিদাবাদের এমপি আবু তাহের খান, ডোমকল পৌরপতি জাফিকুল ইসলাম সহ ঘাসফুলের প্রতিটি কর্মীর পক্ষ থেকে দেশ-বিদেশের সকল মানুষের প্রতি জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি সকলের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করি।

    ভারতবর্ষের জনগণ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে জন্মাষ্টমী পালন করে। যেকোন ধর্মীয় উৎসব সম্প্রদায়ের ভেদরেখা অতিক্রম করে মানুষে মানুষে মিলনের বাণী শোনায়, মানব সমাজের মধ্যে এক অনন্য ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত করে। আনন্দরুপ বিনম্রতায় সমাজে সকলকে এক গভীর শুভেচ্ছাবোধে আপ্লুত করে।

    সকল ধর্মের মর্মবাণী শান্তি ও মানব কল্যাণ। যুগে যুগে ধর্ম প্রচারকগণ সত্য ও ন্যায়ের পথ দেখিয়ে গিয়েছেন। শ্রীকৃষ্ণ ধরাধামে আবির্ভূত হয়েছিলেন এমনি এক সময়ে যখন সমাজে অত্যাচারী রাজার নিষ্ঠুর অত্যাচার ও দূঃশাসন কায়েম ছিল। পুরান মতে, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টম তিথিতে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ জন্ম গ্রহণ করেন। সনাতন ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল। তাদের আরো বিশ্বাস, দুষ্টের দমন করতে এভাবেই যুগে যুগে ভগবান মানুষের মাঝে নেমে আসেন এবং সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করেন।

    মানব প্রেমের প্রতীক শ্রীকৃষ্ণের ভাবধারা ও আদর্শ ছিল সমাজ থেকে হানাহানি দূর করে মানুষে-মানুষে অকৃত্রিম ভালবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলা। তিনি (শ্রীকৃষ্ণ) সর্বদা মানবতার মুক্তির পথ খুঁজেছেন। সৃষ্টিকর্তার বন্দনা ও আরাধনার মাধ্যমে মানুষে মানুষে সম্প্রীতির আবহ সৃজনে তাঁর আদর্শ সমভাবে প্রযোজ্য।

    আজকের প্রেক্ষাপটে ভারতবর্ষের জনগণ দাঙ্গাবাজা রক্ত চোষা বিজেপির দু:শাসনে মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। আর এই অত্যাচারি বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অত্যাচার থেকে বাংলাকে সুরক্ষিত রাখতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ, শিক্ষা ও চেতানা ধারণ করে মানুষকে সুসংগঠিত করতে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন অনুব্রত মন্ডল, ড. আশিস ব্যানার্জ, বিধানচন্দ্র মাঝি, মুর্শিদাবাদের এমপি আবু তাহের খান, ডোমকল পৌরপতি জাফিকুল ইসলামসহ বাংলার অগণিত মানুষ।

    ধর্মীয় সম্প্রীতি ভারতবর্ষের সুদীর্ঘকালের ঐতিহ্য। তাই ভারতবর্ষের জনগণ কখনোই ঔদার্য, ব্যাপক পরিসর ও অন্য ধর্মের প্রতি সহিষ্ণুতা হারায়নি। এখানে সকল ধর্মের মানুষেরা যুগ যুগ ধরে পারস্পারিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছে। আমরা সব ধর্মের মানুষের সমঅধিকারে বিশ্বাসী। হিংসা, বিদ্বেষ, হানাহানি, বৈষম্য, বৈকল্য ও অন্যায়-অবিচার দূর করে সমাজকে শান্তিময় করে তুলতে যার যার অবস্থানে থেকে আমাদের সবাইকে অবদান রাখতে হবে।জন্মাষ্টমীর এই শুভদিনে আমি সকলের প্রতি এ আহবান জানাই।আমি বিশ্বাস করি, ধর্ম যার যার ভারতবর্ষ সবার। এদেশে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষ যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। তৃণমূল কংগ্রেস এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর।