জোরালো আন্দোলনের ফলে আশার আলো মুর্শিদাবাদের আরবি ভাষা ও সাহিত্যের ছাত্র ছাত্রীদের

আসিফ রনি, নতুন গতি, বহরমপুর: মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি ভাষা ও সাহিত্য চালুর দাবিতে জোরালো আন্দোলনের ফলে আশার আলো মুর্শিদাবাদের আরবি ভাষা ও সাহিত্যের ছাত্র ছাত্রীদের।

    প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার দীর্ঘ বছর পরেও রাজ্যের সবচাইতে সংখ্যালঘু জনসংখ্যা বিশিষ্ট জেলা মুর্শিদাবাদে ছিল না কোন ইউনিভার্সিটি। আর এই নিয়ে দাবি উঠছিল দীর্ঘদিন ধরে, হয়েছে দীর্ঘ আন্দোলন। ২০১৮ সালে সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে সায় দেয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে মুর্শিদাবাদ জেলায় রাজ্য সরকার নিয়ন্ত্রিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন আপাতত বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজে শুরু হল। চলতি বছর স্নাতকোত্তর বিভাগের পাঠক্রম চালুর নোটিশ প্রকাশ করা হয়েছে উচ্চ শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে।
    কিন্ত ২০২১-২২ শিক্ষা বর্ষের এই নোটিশে মোট ১৪টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে পঠনপাঠন করার সার্কুলার জারি করা হলেও স্থান পায়নি আরবি ভাষা ও সাহিত্য মত বিষয়।

    আর এই কারণে আবারো আন্দোলন শুরু হয় মুর্শিদাবাদ জেলায়। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন থেকে শুরু করে সামাজিক সংগঠন, ইমাম মোয়াজ্জেন সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ দেখা করেন, ডেপুটেশন দেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে । কিন্তু কর্তৃপক্ষের বিষয়টিকে নিয়ে গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

    আজ বুধবার আবারও মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন প্রান্তের ১৪ টি কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও অধ্যাপকেরা মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় অভিযান করে উপাচার্যের কাছে আরবি পঠন-পাঠন চালু করার জোরালো আবেদন জানান । ফলে আজ মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুজাতা ব্যানার্জি ২০২১ শিক্ষা বর্ষে আরবি পঠন-পাঠন চালু করার জন্য উচ্চ দপ্তরে রিকুজেশন পাঠানোর কথা জানান। সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি পঠন-পাঠনের জন্য সেইমতো পরিকাঠামো নেই বলে জানালে প্রতিউত্তরে ছাত্রছাত্রীরা বলে তারা খোলা আকাশের নিচে পঠন-পাঠন করতে রাজি। সবশেষে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আশার আলো দেখান, এবং আশ্বাস দেন চলতি বর্ষেই আরবিকে চালু করা হবে।

    মুর্শিদাবাদ জেলা এত বড় অথচ পঠন পাঠন এর জন্য আরবি পড়তে অন্য জেলাতে যাওয়া লজ্জাজনক , তাই তাদের আশা দ্রুত বাস্তবায়িত করতে মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি পঠন-পাঠন চালু হোক এতে উপকৃত হবে মুর্শিদাবাদ জেলা বাসী বলে মনে করছেন জেলার শিক্ষা মহল।

    অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান, বিভাগীয় প্রধান, লালগোলা কলেজ ও অধ্যাপক ড. জিয়াউল হক, জেলার বিভিন্ন কলেজ থেকে আগত অধ্যাপক অধ্যাপিকা গন