জলের তলায় ফেরিঘাট, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগের ব্যস্ততম শহর সাঁইথিয়ায় 

নিশির কুমার হাজরা, নতুন গতি,  বীরভূম: বর্ষা আসতেই বিভিন্ন জলাধার গুলি জল ছাড়া শুরু করলে কোপ পড়ল সাঁইথিয়া ময়ূরাক্ষী নদীর ওপর থাকা ফেরি ঘাটের ওপর। তিলপাড়া জলাধার থেকে জল ছাড়ায় রবিবার সকাল থেকেই ফেরি ঘাটের ওপর বয়ে চলেছে প্রবল গতিতে জলের স্রোত। ফলে অস্থায়ী ফেরিঘাট এ মানুষের যাতায়াত আপাতত বন্ধ। কম সময়ে যাতায়াতের জন্য জীবন জীবিকার স্বার্থে ব্যস্ত মানুষ এই ফেরিঘাট টি ব্যবহার করে। 

     

     

    ফলে রামপুরহাট, বোলপুর ও বহরমপুরের পথযাত্রীদের কমপক্ষে কমপক্ষে ৭ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যাতায়াত করতে হবে! প্রতিবছর বর্ষা নামার আগে এই ফেরিঘাট মাটি দিয়ে মেরামতি করা হয়! অজস্র মানুষ বীরভূমের এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যাতায়াত করে! কিন্তু বর্ষা এলে প্রতি বছর ভোগান্তির শেষ হয় না! ভেঙে যায় ফেরিঘাট! বন্ধ হয়ে যায় যাতায়াত! যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়! স্থানীয় বাসিন্দা রথীন সেন জানান, গতরাতে এই ফেরিঘাট ভেঙে গেলে সাঁইথিয়া শহরে যানজট বেড়েছে! সাধারণ মানুষ থেকে জেলার অন্যান্য যাত্রীরাও খুব অসুবিধায় পড়েছে! সরকার রেলস্টেশন আধুনিকরণ করলেন আর এই রাস্তাটির কোনো ব্যবস্থাই করলেন না! মানুষের বিপদ হলে এই শহরবাসীর বিপদ বাড়বে! তাতে সরকারের কিছু যায় আসে না! সবই ভাগ্যের পরিহাস ভেবে, সহ্য করা যায় না! দীর্ঘ বাম জামানা থেকে শুরু করে বর্তমান তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের পরিসংখ্যান দেখলাম! বাস্তবে সাধারণ মানুষের কোন ও উন্নয়ন হয়নি! আজ সাধারণ গরিব মানুষ অসুস্থ হয়ে তাড়াতাড়ি হসপিটালে যাবে! রাস্তা কোথায়? ডাক্তারবাবুর কাছে পৌঁছানোর আগেই তাকে মৃত্যুবরণ করতে হবে!

     

     

    যদিও ফেরিঘাট ভেঙে যাওয়ার পর ঝুঁকি নিয়ে ওই রাস্তায় মানুষের যাতায়াত রুখতে ইতিমধ্যে পুলিশের তরফ থেকে মোতায়েন করা হয়েছে দুটি সেভিক ভলেন্টিয়ার এটাই কি যথার্থ? প্রশ্ন থেকে যায় সচেতন মানুষের অন্তরে এবং বাহিরেও!

     

     

    ভাবতে অবাক লাগে, সাঁইথিয়া শহর এর বুদ্ধিজীবী তকমা লাগিয়ে যেসব মানুষ ঘুরে বেড়ান, কলম চালান আনন্দবাজার পত্রিকায়! তাদের মাথায় সাধারণ গরিব মানুষের চিন্তা এখনো ঠাঁই পায়নি! তাই প্রতি বছর বর্ষা এলে একটি অক্ষর খরচা করেন না এইসব বুদ্ধিজীবীরা! এদের বুদ্ধিজীবী ভাবতে ঘেন্না হয় এ কথা বললেন বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা জনৈক স্কুল ছাত্র।