|
---|
আর এ মণ্ডল : বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকের আমশোল গ্রামের খেলার মাঠে ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হল জমিয়াতের জেলা সম্মেলন। সভাপতিত্ব করেন জেলা সংগঠনের সভাপতি মোজাহারুল ইসলাম। সঞ্চালক ছিলেন সেখ জামিলুর রহমান।
বিভিন্ন ব্লকের নেতৃত্ব সহ শাখা সংগঠনগুলির নেতা কর্মী ও সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রধান অতিথি ও বক্তা ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের গ্রন্থাগার মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী,যিনি রাজ্য জমিয়াতের সভাপতির পদেও আসীন আছেন। এছাড়াও ছিলেন বিশিষ্ট অতিথি বর্গের অন্যতম ব্যক্তিত্ব সোমসার রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামীজী অমলাত্মানন্দ মহারাজ এবং মিশনের বিশিষ্ট কর্মী নিমাই মোহান্ত,ছিলেন বরেণ্য অতিথি পূর্ব বর্ধমান জেলার জমিয়ত সম্পাদক মাওলানা ইমতিয়াজ সাহেব প্রমুখ। বাঁকুড়া জেলা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মোজাহারুল ইসলাম, সম্পাদক হাফিজ আকিল আহমাদ এবং অন্যান্যদের মধ্যে প্রাক্তন ক্যাপ্টেন মুহাম্মাদ ইউনুস, নিয়ামত আলি মণ্ডল প্রমুখ।
স্বামীজীর বক্তব্যে সর্ব ধর্মের মধ্যেই ঈশ্বর প্রাপ্তি ঘটে,যদি তা সঠিক ভাবে পালন করা হয়।সেই মর্মে রামকৃষ্ণের মতামত তুলে ধরেন। চৌধুরী সিদ্দিকুল্লাহ জানান যে,এই দেশ আর এস এস এর নয় সকল সম্প্রদায়ের বৈচিত্র্যপূর্ণ ভারত বর্ষ। হিন্দু মুসলিম এবং অন্যান্য সবার সম্মিলিত সংগ্রামের মাধ্যমেই অর্জিত স্বাধীনতা।সম্প্রদায়গত বিভাজন নয় ফুরফুরার স্বনামধন্য কামেল পীর হজরত আবুবকর সিদ্দিক (রহ:) ছিলেন জমিয়াতের প্রথম রাজ্য সভাপতি। নয়া সংশোধনী ওয়াকফ আইনের বিরূদ্ধাচরণ করে প্রতিটি বক্তাই তীব্র প্রতিবাদ ব্যক্ত করেন। নিয়ামত আলি জেলা কোর কমিটির উদ্দেশ্যে বলেন যে, উচিত হবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকা এবং অন্যের কর্তব্য ও দায়িত্ব বিষয়ে সমালোচনা না করা।
জনৈক বিশিষ্ট জনের ভাষায় , জমিয়াত কোন রাজনৈতিক দলের লেজুড় নয়, কারও বি টিমও নয়। জমিয়াতে উলামায়ে হিন্দ স্বাধীনতার পূর্বোত্তর কালের প্রতিষ্ঠিত একটা আদর্শবাদী সংগঠন।
সম্মেলনটি জেলা জমিয়াতের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এবং সোনামুখী ব্লক কমিটি ও আমশোল গ্রামের মানুষদের সর্বপ্রকার সাহায্য সহযোগিতায় সুসম্পন্ন হয়।