জরাজীর্ণ সেতুতে বন্ধ যান চলাচল’, বিকল্প পথে নাজেহাল স্থানীয়রা

আজিজুর রহমান,গলসি : গলসির ভাসাপুরের ডিভিসির সেচ ক্যানেলের উপরে থাকা সেতুটি কয়েকবছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। আশপাশের আট দশটি গ্রামের মানু‌ষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল ওই সেতু। সপ্তাহ দুইতিন আগে সেতুর একাংশ বসে যাওয়ায় তাতে যান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। সেতুর মুখে ব্যারিকেড বেঁধে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। দুর্ঘটনা রুখতে সেতু পাহারা দিচ্ছে পুলিশ। তবে এর জেরে ভাসাপুর, খুরাজ, মনোহর সুজাপুর, সিংপুর, শিড়রাই, আমবহুলা, মল্লসারুল সহ আশেপাশের বেশ কিছু গ্রামের মানুষকে ঘুর পথে যেতে হচ্ছে। গ্রামবাসী সেখ মাসুম ভোলন মন্ডল বলেন, সেতু বন্ধ হওয়ায় নাজেহাল অবস্থা হচ্ছে তাদের। এখন তারা সেতুর পাশে ক্যানেলের বাঁধ দিয়ে একটি মাটির রাস্তা দিয়ে দৈনিক যাতায়াত করছেন। যেটি পাশের পুরসা ও সিংপুর গ্রাম হয়ে জাতীয় সড়কে উঠছে। তবে পথটি মাটির হওয়ায় নিত্য ধুলোয় ঢাকছে আকাশ। তারা আরও বলেন, ওই পথে চলছে চার পাঁচটি বাস। তাছাড়াও টোটো, চারচাকা মোটরবাইক সহ অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করছে নিত্যদিনই। রাস্তাটি মাটির হওয়ায় নিত্য সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন এলাকার মানুষরা। তারা সেতু সারাইয়ের আগে কাঁচা রাস্তাটি যান চলাচলের উপযোগী করার দাবী জানিয়েছেন। এলাকাবাসী অনুপ দত্ত বলেন, মাটির পথটি অসম এবড় খেবড় হওয়ায় হয়রানিতে পরছেন যাত্রীরা। একটি গাড়ি পাড় হলে ধুলোয় ঢেকে যাচ্ছে আকাশ। তার দাবী, ওই বিকল্প পথটি সারাইয়ের ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। এলাকার শিড়রাইয়ের বাসিন্দা বলেন সেহারা বাজার আত্মীয় বাড়ি থেকে আসছি পুরসা দিয়ে ঘুরে বাড়ি ফিরছি। বাঁধের এই রাস্তাটি এত খারাপ যে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না। তিনি জানিয়েছেন সামনেই পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। সেখানে নিত্যদিন প্রসুতি মা থেকে রোগী ও রোগী আত্মীয়দের যাতায়াত করতে হয়। তাই প্রশাসনের কাছে তার অনুরোধ সেতুর কাজ হওয়ায় আগে আপাতত এই রাস্তাটি সারাই করে দিক। টোটো চালক আরমান মোমিন বলেন, নিত্য ভাষাপুর থেকে টোটো চালিয়ে উপার্জন করে সংসার চালান। সেতুটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সিংপুর ও পুরসা হয়ে ঘুরপথে আসতে হচ্ছে। তবে পুরসার পর থেকে ভাষাপুর গ্রাম অবদি ডিভিসির বাঁধের রাস্তাটি মাটির রাস্তায় টোটো নিয়ে যাতায়াত করছে খুব সমস্যা হচ্ছে। সেতু সারাই এর সাথে সাথে মাটির রাস্তাটি সারাইয়ের আবেদন জানিয়েছন তিনি।