|
---|
উজির আলী,নতুনগতি,চাঁচল: ০৮ এপ্রিল
সাংবাদিককে অশালীন ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে, অশ্লীলতার স্বীকার ওই সাংবাদিক বুধবার অভিযোগ দায়ের করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়।
এই ঘটনাকে ঘিরে বিমর্ষ হয়ে পড়েছে উত্তর মালদহের সাংবাদিক মহল।
পুলিশ জানায়, হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা তনুজ জৈন নামক ওই বৈদুতিন সাংবাদিক অভিযোগ করেছেন এক যুবকের বিরুদ্ধে। ফেসবুক আই ডি সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত এফজেএল ফজিরুল হক ওরফে মহম্মদ সাহিল( FjL Forjul Hoque) (২৩)অবিবাহিত হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা।
তবে গ্রামের নাম ও পরিচয়ের জন্য তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ বলে খবর।
অশ্লীল ভাষায় শিকার ওই সাংবাদিক জানায়, লকডাউনকে অমান্য করছে এলাকার বাসিন্দারা।
পুলিশের পাশাপাশি সাংবাদিকও লকডাউনের ভিড় সরাতে কলম চালিয়ে যাচ্ছেন। আর এই জোড় দেখাতে গিয়ে মানুসের বিপরীথ প্রতিক্রিয়া মিলছে আমাদের। প্রশাসনের পাশাপাশি সাংবাদিকও তৎপর রয়েছে জমায়েত এড়াতে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার মঙ্গলবার বিঝোট গ্রামে চায়ের দোকানে জমায়েত এড়াতে আক্রান্ত হয় হরিশ্চন্দ্রপর থানার পুলিশ। আর এনিয়ে তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হয় ওই এলাকায়। পুলিশের উপর হামলার ব্যাপার বরদাস্ত করেননি চাঁচল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সজল কান্তি বিশ্বাস, তিনি বল, পুলিশ কর্মীরা ঝুকিপূর্ণ ভাবে কাজ করে চলেছেন করোনা মহামারীতে।
মানুসের ভালোর জন্য জমায়েত এড়ানো হচ্ছে। হামলাকারীদের ছাড়া হবে।
ওই হামলার খবরটির পৌর্টাল লিঙ্ক ফেসবুকে শেয়ার করতেই ব্যাপক মন্দভাবে অশ্লীলতায় গালিগালাজ করে ফজরুল হক নামে ওই যুবক।
মন্দ গালাজের শিকার তনুজ জৈনের বক্তব্য, করোনা প্রকোপ মেটাতে প্রধান মন্ত্রী দেশজুড়ে ঘোষনা করেছেন লকডাউন। তবে রমরমিয়ে ভিড় ও জমায়েত উঠে আসছে ক্যামেরায়। মানুষ নিজের পায়ে কুড়ল মারছে। খবর জের দেখিয়েও কোন ফল হচ্ছে না। জরুরী বিভাগ ছাড়া সমস্ত পেশাযুক্ত মানুষ যখন গৃহবন্দী। সেই মুহুর্তে জীবনের ঝুকি নিয়ে সমাজের কল্যানের জন্য পরিবার ছেড়ে খবর সংগ্রহ করতে যাই আমরা। তবে কিছু অশিক্ষিত মানুষ চাইছে না আমরা ভিড় বা জমায়েতের খবর যেন করি।
সাংবাদিককে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ
“ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন উত্তর মালদা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুরতুজ আলম।”
পুলিশকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবী করেছেন তিনি।একজন সাংবাদিককে গাল দিয়ে ঠিক কাজ করেনি।এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন উত্তর মালদা প্রেস ক্লাবের সভাপতি।
অভিযোগ পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আই সি সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, অভিযোগ পেয়েছি,অভিযুক্তের তল্লাশি শুরু হয়েছে। খোঁজ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কঠর ধারায় মামলা রুজু করা হবে বলে জানিয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি।