কাজের গাফিলতি দেখে পিচপাথর তুলে ইঞ্জিনিয়ার পকেটে ঢুকিয়ে দিলের সাংসদ

আজিজুর রহমান,গলসি : গলসির মনহর সুজাপুর গ্রামে পথশ্রী প্রকল্পে কাজের গাফিলতি নিজের চোখে দেখে পিচমাখা রাস্তার পাথর তুলে জেলার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এর দুই পকেটে ঢুকিয়ে দিলের বর্ধমান দূর্গাপুর লোকসভার সাংসদ কীর্তি আজাদ। আর এ থেকেই গ্রামবাসীদের করা আন্দোলন যে সঠিক তার প্রমান প্রকাশ্যে এলো। পকেটে পাথর ঢুকিয়ে কড়া ভাষায় সাংসাদ বলেন জেলার এক্সুটিভ ইঞ্জিনিয়ার ও সুপারিন্টেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ারকে দেখাবেন রাস্তার কি অবস্থা। জানতে পারা গেছে, পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসি ১ নং ব্লকের মনহর সুজাপুর গ্রামের প্রাইমারী স্কুল থেকে গলিগ্রাম লকগেট প্রযন্ত ২.৯০০ কিমি পিচরাস্তা তৈরী হয়েছিল। প্রকল্পে জেলা পরিষদ তহবিল থেকে ৯৭,৪১,৬২৩ টাকা ব্যায় করা হয়েছিল। সেই রাস্তা তিনমাসের মধ্যে পিচ উঠতে শুরু করায় গ্রামবাসীরা অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই খবর সম্প্রচারিত হয়েছিল সংবাদ মাধ্যমে। গ্রামবাসীদের আন্দোলনের খবর দেখে লোকসভার সাংসদের টনক নড়লেও জেলার সরকারি ইঞ্জিনিয়ারদের কোন হেলদোল দেখা যায়নি। এমনকি পুনরায় কিভাবে রাস্তাটি ঠিক করা যায় তারও কোন উদ্দ্যোগ লক্ষ করা যায়নি।

    পরিদর্শনে এসে সাংসদ কীর্তি আজাদ জানিয়েছেন, আমি টিভির খবর দেখে ও পেপার পরে এসেছি। এসে যা দেখলাম বলার ভাষা নেই, বলতে লজ্জা লাগছে। অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের পকেটে নিচে থেকে পাথর কুড়িয়ে ঢুকিয়ে দিলাম। আর বললাম এগুলো পকেট থেকে বের করে এক্সুটিভ ইঞ্জিনিয়ার ও সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ারকে দেখাবেন। সবথেকে বড় কথা সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার ও এক্সুটিভ ইঞ্জিনিয়ারের এখানে থাকা দরকার ছিল যখন সাংসাদ এই জায়গায় এসেছেন। তাদের না থাকা এটাই বলে যে বিষয়টিতে বড় কিছু ব্যাপার আছে। আর এই কাজে যে ধরনের গন্ডগোল হয়েছে তা নিয়ে আমি জেলা শাসককে একটি শক্ত চিঠি লিখব। আর তাতে এদের সাসপেন্ট বা টারমিনেশনের দাবী রাখবো। এদিকে সাংসদ গ্রামবাসীদের কাছে আসায় খুশি আন্দোলনকারী গ্রামবাসীরা।