|
---|
রহমতুল্লাহ, সাগরদিঘী : নার্সিংহোমে ফুল দিয়ে গাড়ি সাজানো দেখে চক্ষু চড়ক গাছ। এ যেন বিয়ের গাড়ি কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়ির কাছে মানুষের ভিড় জমতে থাকে দেখা যায় এটা বিয়ের গাড়ি নয়। এটা একটা যুবকের শিশু কন্যা সন্তান হওয়ায়। মা লক্ষ্মীকে বরণ করে নিতে এসেছেন তার বাবা ও পরিবারের লোকজন। আজও এমন অনেক পরিবার আছে, যেখানে মেয়ে জন্মালে মাকে খোঁটা শুনতে হয়। সদ্যোজাত কন্যাসন্তানকে হাসপাতালে ফেলে পালানোর ঘটনাও ঘটে। কন্যাসন্তান বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়।
কিন্তু এই সমাজ থেকে আলাদা ইউসুফ হাসান। ইউসুফ হাসান বাড়ি সাগরদিঘীর জোতকমল গ্রামে। আর রুখসা পারভীনের বাবার বাড়ি সাগরদিঘী রতনপুর এলাকায়। ইউসুফ হাসান পেশায় একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বছর পঁচিশের ওই যুবকের সঙ্গে বছরখানেক আগে সাগরদিঘী রতনপুর গ্রামের রুখসা পারভীনের বিয়ে হয়। ১৮ই মে মুর্শিদাবাদের বসুমতি নার্সিংহোমে তিনি এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। মঙ্গলবার ফুল, বেলুন দিয়ে একটি প্রাইভেট গাড়ি কে সাজিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের মিষ্টিমুখ করিয়ে মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যান ইউসুফ।
কী বলছেন ওই দম্পতি ও তার স্বামী। আমরা চেয়েছিলাম যে আসছে সে যেন সুস্থ এবং স্বাভাবিক অবস্থায় আসে। সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। আবার কী চাই?’’ বসুমতি নার্সিংহোমে জন্মগ্রহণ করেন ইউসুফ হাসান এর কন্যা । আর এই খবর শোনার পর খুশিতে আত্মহারা হন কন্যা সন্তানের বাবা ইউসুফ হাসান।
ইউসুফ হাসান জানান তার স্বপ্ন ছিল তার একটি কন্যা সন্তান হবে এবং তিনি তাকে খুব যত্ন সহকারে বড় করবেন সাদরে গ্রহণ করবেন আরো বলেন কন্যা সন্তান এই সমাজের বোঝা নয় কন্যা সন্তান হল ঘরের লক্ষী তাই তিনি তার ঘরের লক্ষী নিয়ে গাড়ি সাজিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে কন্যা সন্তানের মা জানান তার স্বামীর এই উদ্যোগে তিনি অনেক খুশি হয়েছেন এবং তিনি আরো বলেন সমাজের প্রত্যেকটা স্বামী এমন হওয়া দরকার যে কন্যা সন্তান বোঝা নয় কন্যা সন্তান চাইলে অনেক কিছুই করতে পারেন। এমনটাই বার্তা দিয়েছেন কন্যা সন্তানের মা রুখসা পারভীন।