|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় বামেদের প্রতিনিধি না থাকায় খানিকটা হতাশই হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ এই নির্বাচনে ‘টোটাল ফ্লপ’ বামফ্রন্ট নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত মোর্চা। ফিকে হয়ে গিয়েছে লাল রঙ। গোটা রাজ্যে তাদের কপালে জোটেনি একটা আসনও। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের হ্যাটট্রিককে ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর লড়াই হিসেবে দেখছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রায়দিঘি বিধানসভার সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রবীণ এই নেতার বক্তব্য, ‘ধর্মীয় ফ্যাসিবাদকে রুখে দেওয়ার জন্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভুমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। একুশের নির্বাচনে বাংলার মানুষ ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। আমি বাংলার মানুষকে কুর্নিশ জানাই।’
এই হ্যাটট্রিকের সাফল্যে তৃণমূল সুপ্রিমোর উদ্দেশ্যে প্রশংসা বার্তা দিয়েছেন বর্ষীয়ান সিপিআইএম নেতা। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার নীতিগত পার্থক্য রয়েছে। তবে ফ্যাসিবাদকে রোখার জন্য তাঁর ভূমিকাও অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এই কাজ বামপন্থীদের করা উচিত ছিল। সেই কাজ মমতা করতে পেরেছেন।’ একুশের নির্বাচনে ভোট বাক্সের হিসেব বলছে, তিনি ৩৬৯৩১ জনের সমর্থন পেয়েছেন।
তাঁর মতে, বিজেপিকে গোটা রাজ্য থেকে সম্পূর্ণ নির্মূল করতে হবে। কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘যেটুকু জায়গায় গেরুয়া শিবিরের শিকড় ছড়িয়েছে, তা অবিলম্বে উপড়ে ফেলতে হবে। আগামীদিনে পুরসভা এবং পঞ্চায়েত ভোট রয়েছে। সেখানেও তাদের হারাতে হবে।’ এখন কোভিড পরিস্থিতিতে কান্তিবাবুর আবেদন, করোনা প্রতিরোধে সর্বদলীয় বৈঠকের প্রয়োজন রয়েছে। হিংসা হানাহানি বন্ধ হোক। শান্তি–শৃঙ্খলা বজায় থাকুক।