|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক, কেশপুর : আবারো নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করে সুনাম অর্জন করলো গোলাড় সুশীলা বিদ্যাপীঠের কন্যাশ্রী ক্লাব। ঘটনাটি ঘটেছে কেশপুর ব্লকের অন্তর্গত ৪ নম্বর গোলার গ্রাম পঞ্চায়েতের ধর্মপুর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে গোলাড় সুশিলা বিদ্যাপীঠের একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর ১৮ বছর বয়স সম্পূর্ণ না হওয়ার আগেই প্রশাসনের নিয়মের তোয়াক্কা না করেই পরিবার থেকে বিবাহের বন্দোবস্ত করেছিল এক যুবকের সঙ্গে। পাত্র যুবক সেখ সবুজ আলীর বাড়ি কেশপুরের মুগবসান গ্রামে। সেই খবর পাওয়া মাত্রই কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যরা ওই নাবালিকার বাড়ি পৌঁছায়। ওই নাবালিকার বিয়ের খবর পৌঁছায় কেশপুরের বিডিও অফিস ও কেশপুর থানার কাছে। রাত্রি আটটা নাগাদ কেশপুর থানার পুলিশ ও কেশপুরের জয়েন্ট বিডিও প্রসেনজিৎ নন্দী পৌঁছে যায় ওই নাবালিকার বাড়ি।
পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় কন্যাশ্রী ক্লাব ওই নাবালিকার বিবাহ আটকায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা লেখানো হয় যাতে করে ১৮ বছর হওয়ার আগে তার মেয়ের কোনোভাবেই বিয়ে না দেয়। নাবালিকা ছাত্রী মর্জিনা খাতুন বলেন আমি পুলিশের কাছে মুচলেকা দিয়েছি যেযতক্ষণ পর্যন্ত না আমার ১৮ বছর বয়স হচ্ছে আমি পড়াশোনা করব। আগামী সোমবার থেকে আমি নিয়মিত স্কুল যাব। কন্যাশ্রী ক্লাবের এক ছাত্রী বলেন আমরা আগেও নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করেছি, আগামীতেও আমরা নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করব। সকল সহপাঠীর উদ্দেশ্যে তার বার্তা ছিল পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াও ও পরিবারের পাশে দাঁড়াও। তবে প্রশ্ন উঠেছে বারবার এত সচেতন করার সত্ত্বেও কেন নাবালিকার বিবাহ হচ্ছে?