|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : বিদ্যালয়ে এসে গোলাড় সুশীলা বিদ্যাপীঠের কন্যাশ্রী ক্লাবের ছাত্রীরা খোঁজ পায় অষ্টম শ্রেণীর এক পড়ুয়ার আগের রাতে বিয়ে হয়েছে। খবর পেয়ে যুবকের বাড়ি ঘেরাও করে অবিলম্বে ছাত্রীকে ফেরত দেওয়ার দাবি জানায় কন্যাশ্রী ক্লাবের ছাত্রীরা। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ওই ছাত্রীকে বাপের বাড়িতে ফেরত পাঠায় পাত্রের বাড়ীর লোকেরা। ছুটে যায় কেশপুর থানার পুলিশ, ও কেশপুর বিডিও অফিসের আধিকারিকরা। ঘন্টাখানেকের মধ্যে ইউনিফর্ম পরিয়ে ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসে কন্যাশ্রী ক্লাব। “সাবালিকা না হলে বিয়ে দেব না” মুচলেকা আদায় করে কেশপুর বিডিও অফিসের আধিকারিকরা।শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর ব্লকের গোলাড় এলাকায়। গোলাড় সুশিলা বিদ্যাপীঠের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রী শিল্পা মান শুক্রবার বিদ্যালয়ে হাজির হয়নি। স্থানীয়রা অভিযোগ জানায় ওই ছাত্রীর আগের রাতেই বিয়ে হয়েছে প্রতিবেশী এক যুবকের সাথে। নাবালিকার বিয়ে আটকানোর জন্য খবর পাওয়ার সাথে সাথে দৌড়ায় কন্যাশ্রী ক্লাব। বিদ্যালয় থেকে কিছুটা দূরেই ওই ছাত্রীর বাড়ি। ছাত্রীর বাড়ির লোকজন জানায় সে মাসির বাড়ি গিয়েছে। কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হওয়াতে খোঁজ নিয়ে কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যারা ছাত্রীর বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে থাকা পাত্রের বাড়িতে হাজির হয়ে যায়। বাড়ি ঘেরাও করে অবিলম্বে ছাত্রীকে ফেরত দেওয়ার দাবি করে। অস্বীকার করে ছেলের বাড়ির লোকজন। দুর্ব্যবহার করে তারা জানায় ছাত্রী এখানে নেই।
অন্যদিকে বিদ্যালয় মারফত খবর যায় পুলিশ ও বিডিও অফিসে। কেশপুর থানার পুলিশ সহ বিডিও অফিসের আধিকারিকরা হাজির হয়ে যায় ওই বাড়িতে। পরিস্থিতি বেগতিক মনে হওয়াতে ছাত্রীকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই ছাত্রী তার নিজের বাপের বাড়িতেই দেখা যায়। ছাত্রী জানায়-” বাবা-মা বিয়ে দিয়ে দেবে জানতে পেরে আমি মাসির বাড়িতে চলে গিয়েছিলাম। আমি স্কুলে যাব।” কেশপুর থানার পুলিশ এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। বিয়ে না করার পরামর্শ দিয়ে ছাত্রীর বাবা-মাকেও এ বিষয়ে সাবধান করে দেয় পুলিশ। বিডিও অফিসের আধিকারিকরা লিখিত মুচলেকা নেয় ছাত্রীর বাবা-মায়ের কাছ থেকে।
কেশপুর বিডিও অফিসের আধিকারিক পিয়ালী কুইলা বলেন-” ছাত্রীসহ তার পরিবারকে বোঝানো হয়েছে। বিয়ে বাতিল করে পড়াশোনা করাবে এমন মুচলেকা লেখানো হয়েছে।
ছাত্রীর বাবা বিয়ের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, বিয়ে এখনো দিইনি। ও মাসির বাড়ি গিয়েছিল। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা লিপিকা দাস বলেন-” কন্যাশ্রী ক্লাবের সফলতা এটা। এর আগেও একাধিকবার এইভাবে নাবালিকার বিয়ে আটকে ছিল ওরা। রাজ্য স্তরের সম্মানিত হয়েছিল। আজকে ফের একই সফলতা পেলাম আমরা।”