|
---|
নিজস্ব প্রতিনিধি, নতুন গতি, নদীয়া: আজকের দিনে অর্থাৎ 5 ই মে জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। অর্থনীতি, ইতিহাস , সমাজবিজ্ঞান রাজনীতি এবং দর্শনে অসাধারণ পাণ্ডিত্য ছিল তার। তিনি মনে করতেন অস্থিতিশীল এবং সংক্রমণ পুঁজিবাদী ব্যবস্থার ক্রমাগত শ্রেণী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মজলুম শ্রমজীবী শ্রেণীর মাঝে শ্রেণী চেতনার জন্ম হবে, যার ফলে তাদের মাঝে ঐক্য গড়ে উঠবে এবং এই ঐক্যবদ্ধ শ্রমজীবী শ্রেণি জালেম শাসক শ্রেণিকে ক্ষমতাচ্যুত করে ।শ্রেণীহীন কওমি সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। মার্কসবাদের যৌথ প্রবক্তা ইংলিশ এর সাথে বিখ্যাত লেখনি গুলি হল বিচ্ছিন্নতা ও শ্রমিকের ব্যাখ্যা কমিউনিস্ট ইস্তেহার দাস ক্যাপিটাল ঐতিহাসিক বস্তুবাদ প্রভৃতি নানান তথ্য আজও অদ্বিতীয়। মাক্স বলেন যে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়ে শ্রমিকশ্রেণী যে পরিমাণ নতুন মূল্যের সৃষ্টি করে তার ভগ্নাংশ মাত্র তারা মজুরি বাবদ উদ্বৃত্ত সিংহভাগ অর্থ পুঁজির মালিকগণ আত্মসাৎ করে ফেলেন।
তার ভাব শিষ্য ছিলেন মিখাইল বাকুনিন, লেলিন ,স্টালিন, মাও ফিদেল ক্যাস্ট্রো, চে গুয়েভারা, শিবদাস ঘোষ।তার ভাবগুরু ছিলেন কান্ট রিকার্ডো রুশো,এপিকুরোস, হেগেল,ফয়েরবাক,গোটে প্রমুখ। তাঁর প্রবর্তিত মত মার্কসবাদ নামে পরিচিত। তার মতে শ্রেণীসংগ্রামের ভেতর দিয়ে মানবসমাজ গুলো বিবর্তিত হচ্ছে, পুঁজিবাদী ব্যবস্থার এই সংগ্রাম এর প্রকাশ ঘটে শাসকশ্রেণীর (যারা একই সাথে রাষ্ট্র ও কলকারখানা নিয়ন্ত্রণ করে) এবং শ্রমজীবী শ্রেণি (যাদের জীবিকার একমাত্র উপায় পুঁজিপতির কারখানার ন্যূনতম মজুরির বিনিময় শ্রম বেচা)চীন ,ভিয়েতনাম, সোভিয়েত রাশিয়া, কিউবা, বিশ্বের একাধিক দেশে দুই তৃতীয়াংশ মানুষ এই প্ন্থার মাধ্যমে সফল হয়েছিলেন।
ভারতবর্ষেও 1919 সালে থেকে পরীক্ষিত হয়ে বিভিন্ন রাজ্যে সেই মতবাদ প্রবর্তিত হয়, যার মধ্যে কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ অন্যতম। পশ্চিমবঙ্গের 34 বছর কমিউনিস্ট শাসনের পর 18 বছরের ভোটের অধিকার, ভূমি সংস্কার আইন, শ্রমজীবী স্বার্থ আজও স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। তবে সেই মতাদর্শ বাস্তবায়িত করার কারিগরদের ভুলভাল তাই হয়তো আজকের এই অবস্থা। তবে সর্মথকরা আজও বিশ্বাস করেন, শ্রমিকের কৃষকের মেহনতী মানুষের মুক্তির একমাত্র উপায় মার্কসীয় তত্ত্ব।