|
---|
নতুন গতি, ডেস্ক : কোন মানুষ জন্ম থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হয়না! সমাজ রাস্ট্র ব্যক্তি বিভন্ন পরিস্থিতে, ঘাত – প্রতিঘাতে সন্ত্রাসী তৈরি করে মানুষদের। দুই দিন আগে ঘটে যাওয়া জম্বু কাশ্মীরে সেনা বাহিনীর উপর ভয়াবহ বোমা হামলার মাস্টারমাইন্ড আদিল জঙ্গি হয়েছে সেনাবাহিনী অত্যাচারের বলদা দিতে, অভিযোগ অদিলের বাবা ও মায়ের। এখন পর্জন্ত সেনা হামলাতে ৪৫ জন সেনা শহীদ হয়েছেন।
পাথর ছোড়ার অভিযোগে সেনাবাহিনীর হাতে মার খেয়েছিল আদিল আহমেদ দার। তারপরই সেনাবাহিনীর প্রতি বিতৃষ্ণা জন্মায় তার। সেই ক্ষোভেই জঙ্গি দলে যোগ দিয়েছিল তাঁদের ২০ বছরের সদ্য যুবক ছেলে, বলে মনে করছেন জৈশের ফিঁদায়ে জঙ্গি আদিলের বাবা গুলাম হাসান দার এবং মা ফাহমিদা দার। শুক্রবার সাংবাদিকদের কাছে পুলওয়ামার ঘটনায় তাদের ছেলের জড়িয়ে পড়ার কথা বলতে গিয়ে, লাঠপোরার বাসিন্দা গুলাম হাসান এবং ফাহমিদার অভিযোগ, ২০১৬ সালে বন্ধুদের সঙ্গে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল আদিল। সেসময় আচমকা সেনাবাহিনী আদিল এবং তার বন্ধুদের আটক করে অপমান এবং মারধর করে সেনাবাহিনীর উপর পাথর ছোড়ার অভিযোগে।
গুলাম হাসান বললেন, ‘আমরাও পুলওয়ামার ঘটনায় সেভাবেই শোকগ্রস্ত যেভাবে জওয়ানদের পরিবারগুলি। কিন্তু সেদিনের ঘটনাই সেনাবাহিনীর প্রতি মন বিষিয়ে দিয়েছিল আদিলের।
তারপর থেকে সবসময় জঙ্গি দলে যোগ দেওয়ার কথা বলত সে।’ তবে ছেলে যে জঙ্গি দলে যোগ দিয়েছে সেব্যাপারে তাঁরা কিছুই জানতেন না বলে জানালেন প্রৌঢ় দম্পতি। স্কুল ছাড়ার পরে শ্রমিকের কাজ করত আদিল। গত বছর ১৯ মার্চ কাজে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি সে। ফাহমিদা জানালেন, ‘আমরা টানা তিন মাস ওকে খুঁজেছিলাম। সন্ধান না পেয়ে তারপর আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম।’
ছেলের মৃত্যু এবং কাশ্মীরের এই পরিস্থিতির জন্য রাজনীতিকদের দায়ী করেছেন গুলাম হাসান। ‘ওঁদের আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত ছিল। যুবকদের সন্ত্রাসবাদের দিকে ওনারাই ঠেলে দিচ্ছেন। আর সাধারম মানুষের ছেলেরা মরছে, তা জওয়ানদের পরিবারই হোক বা আমাদের।’ ক্ষোভ ঝরে পড়ল আত্মঘাতী জঙ্গি আদিলের অসহায় বাবার গলায়। তবে আদিলের মা–বাবার এই অভিযোগের কোনও পাল্টা প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বা সেনাবাহিনীর তরফ থেকে।