কাশ্মীরের 370 ধারা বিলোপ গোটা দেশে একটা ভয়াবহ আতঙ্কের সৃষ্টি

নিজস্ব সংবাদদাতা নতুন গতিঃ  কাশ্মীরের 370 ধারা বিলোপ এরপর গোটা দেশে একটা ভয়াবহ আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী মোফাক্কেরুল ইসলাম। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত ঠিক না ভুল, বৈধতা নিয়ে বিতর্ক উঠতেই পারে । আসলে কাশ্মীরের 370 ধারা কি ছিল? কি সুবিধা ছিল এবং কি থেকে বঞ্চিত হল কাশ্মীরবাসী?
কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী একটি একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান

    ইন্সট্রুমেন্ট অফ অ্যাক্সেশন এর বলে কাশ্মীর যখন ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল তখন সেখানে কি কি ভারতীয় আইন প্রযোজ্য হবে বা হবে না তার একটা রূপরেখা হয়। কাশ্মীর আর দেশের অন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের চেয়ে বাড়তি অধিকার বা সুযোগ পাবে না।

    তিনি বলেন,,,,,

    ১.এক বিশেষ কর্তৃত্বপূর্ণ ক্ষমতা ছিল,,, কোন বিশেষ ক্ষমতা রইল না

    ২.Dual নাগরিকত্ব নিতে পারত,,, এখন শুধুমাত্র একটি নাগরিকত্ত থাকবে

    ৩.জম্বু কাশ্মীর এর জন্য আলাদা পতাকা ছিল,,, এখন ভারতীয় তিনরঙা পতাকা ব্যবহার করবে

    ৪.ধারা 360 তথা ফিনান্সিয়াল ইমারজেন্সি এটা এখানে লাগু হতো না,, এখন থেকে 360 ধারা কাশ্মীরে লাগু থাকবে

    ৫.কোন সংখ্যালঘুদের সংরক্ষণ ছিল না যেমন হিন্দু এবং শিখদের,,, এখন থেকে 16% সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত

    ৬.কাশ্মীরি ছাড়া ভারতের অন্যান্য রাজ্যের মানুষ সেখানে জমি বা সম্পত্তি কিনতে পারত না,,,এখন থেকে ভারতবর্ষের যে কোন রাজ্যের মানুষ সেখানে জমি বা সম্পত্তি কিনতে পারে

    ৭.তথ্য জানার আইন তথা RTI সেখানে লাগু ছিল না,,, এখন থেকে কাশ্মীরে আর টি আই আইন লাগু হবে।

    ৮.আগে বিধানসভার মেয়াদ ছিল 6 বছর,,, এখন কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল হিসাবে মেয়াদ থাকবে 5 বছর

    ৯.আগে জম্বু কাশ্মীরের মহিলা যদি রাজ্যের বাইরে বিয়ে করত তাহলে জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিকত্ব হারাতো,,,, এখন রাজ্যের বাইরে বিয়ে করলেও ভারতীয় নাগরিকত্বের সমস্ত সুবিধা পাবে

    ১০.আগে পঞ্চায়েত এর কোন অধিকার ছিল না,,,,এখন অন্যান্য রাজ্যের পঞ্চায়েতের যা ক্ষমতা তা সেখানে লাগু হবে

    ১১. আগে রাইট টু এডুকেশন
    (RTE) প্রযোজ্য ছিল না,,, এখন থেকে রাইট টু এডুকেশন এর সুবিধা সকলে পাবে

    পরিশেষে আইনজীবী মোফাক্কেরুল ইসলাম জানান বিষয়টিকে নিয়ে যে কোন মানুষ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে এটা আইনী বৈধতা নিয়ে চূড়ান্ত রায় দেওয়ার ক্ষমতা ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় তথা সুপ্রিম কোর্ট রাখে।