|
---|
হোসেন সেখ, ১০ জুন: ভারত সহ গোটা বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দেয়া কাঠুয়া গণধর্ষণ মামলায় পাঠানকোটের জেলা দায়রা আদালত ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল দুপুরের আগেই, আজ। শাস্তি ঘোষণার কথা ছিল দুপুর দুটোর পরে। কিন্তু যেখানে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়ার আশা করা গিয়েছিল, তেমন কিছু না হয়ে শাস্তির নামে যেন পরিহাসই হল খানিকটা। কাঠুয়া গণধর্ষণ মামলায় ৬ জন দোষীর মধ্যে মাত্র ৩ জনের হল যাবজ্জীবন, আর বাকি ৩ জনের হল মাত্র ৫ বছরের কারাবাস ! পরিহাসই বটে !! আগেই তো
বেকসুর খালাস করে দেয়া হয়েছিল সঞ্জীরামের পুত্র বিশালকে !
নাবালিকা আসিফাকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জীরাম, দুই বিশেষ পুলিস অফিসার দীপক খাজুরিয়া ও সুরেন্দ্র বর্মা এবং পুলিস কনস্টেবল আনন্দ দত্ত, হেড কনস্টেবল তিলক রাজ এবং প্রবেশ কুমারকে। দোষী সাব্যস্ত এই ৬ জনের সকলেই সর্বোচ্চ ফাঁসির সাজা হওয়া উচিত ছিল বলে বেশিরভাগ শান্তিপ্রিয় মানুষই তাঁদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে নারকীয় এই গণধর্ষণের ঘটনায় ৮ বছরের নাবালিকা আসিফাবানুকে চারদিন ধরে মন্দিরে আটকে রেখে নিয়মিত মাদক খাইয়ে গণধর্ষণ করা হয়। চারদিন ধরে টানা গণধর্ষণ করে তারপর নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছিল। ঘটনায় জড়িত ছিল স্থানীয় বিজেপি নেতার ছেলেও। ১৫ পাতার চার্জশিটে সাত জনের নাম উল্লেখ করেছিল সিবিআই। তারমধ্যে ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।
তবুও এটাকে মন্দের ভালো হিসেবে সবাই সত্যের জয় বলেই ধরে নিচ্ছে। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর পাঠানাকোটের দায়রা আদালত যে বিচার প্রক্রিয়া সমাপ্ত করে রায়দান করতে পেরেছে, সেটাকেই অনেকে বড় পাওনা বলে মনে করছেন।
ঘটনার পর থেকেই একটা পক্ষ আসামিদের হয়ে প্রকাশ্যে পথে নেমেছে। এমনকি বাদিপক্ষের
এডভোকেট দিপিকা সিং ও তার সহযোগীদের ধর্ষণ আর প্রাণনাশের মতো হাজারও হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে। সব ভয় তুচ্ছ করে, উপেক্ষা করেও তাঁরা যে আইনি লড়াইটা করেছেন, আজকের রায় তারই ফল। এমন অকুতোভয় আইনজীবী থাকলে অনেক কঠিন লড়াই যে সহজ হয়ে যায়, শুভবুদ্ধিসম্পন্ন ও সচেতন নাগরিকরা আজ একথাও বলতে শুরু করেছেন।