খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে নিজের রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচালেন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীকে

বাবলু হাসান লস্কর,সুন্দরবন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ১৩ মাসের সন্তানের জননী সোনারপুর থানার কালিকাপুর এর গৃহবধূ মৌসুমী হালদার। গত তিন দিন আগে তার শরীরে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন থাকলেও মেলেনি এ পজেটিভ রক্ত। এই তিনদিন ওই গৃহবধূ বারুইপুর ক্যানিং সহ একাধিক হাসপাতালে রক্তের জন্য গেলেও মেলেনি এ পজেটিভ রক্ত। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি দৌড়ঝাপ করায় তার অবস্থা অবনতি হতে বসে। আনন্দবাজার পত্রিকা সহ একাধিক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিক প্রসেনজিৎ সাহা, তিনি এদিন সকালে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে খবর সংগ্রহ করতে গেলে তার নজরে আসে বিষয়টা। সাথে সাথে তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট খোঁজ খবর নিতে শুরু করেন। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সুপার তাকে জানান এই মুহূর্তে আমাদের কাছে এ পজেটিভ রক্তের যোগান নেই। যদি কোন রক্ত দাতা সরাসরি রক্ত দেন তাহলে এই রোগীটি সুস্থ হতে পারে। সাংবাদিক প্রসেনজিৎ সাহা তিনি সুপারকে জানান আমার এ পজেটিভ রক্ত আমি দিতে চাই এই মুমূর্ষ রোগীকে। সুপার তাকে রক্ত দিতে নিষেধ ও করেন। এই মুহূর্তে আপনাদের প্রচন্ড চাপ- প্রতি মুহুর্তে জেলার এ প্রান্ত থেকে সে পান্তে আপনাদেরকে যেতে হচ্ছে। আর কয়েকটা দিন পর আপনার জেলায় লোকসভা নির্বাচন। প্রতিনিয়ত যেভাবে রাজনীতি র পারদ যেভাবে বাড়ছে তার মধ্যেও আপনাকে জেলার একাধিক প্রান্তে খবরের সন্ধানে যেতে হবে দিবারাত্র আহার নিদ্রার ঠিকমতো সময় দেওয়ার মুহূর্ত নেই আপনাদের কাছে। আপনারা নিজেদের শরীরের দিকে তাকাবার এই মুহূর্তে সময় নেই। ওই গৃহবধূর স্বামী রাজু হালদার তিনি পেশায় একজন দিনমজুর কষ্ট সৃষ্টে কোনক্রমেই তাদের সংসার চলে। তার উপরে স্ত্রী থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত প্রতিমাসে রক্ত দিতে হয়। এই রক্ত কিনে নেওয়ার মতো তাদের সামর্থ্য ও নেই। সব দিকে চিন্তা ভাবনা করে সাংবাদিক বাবু নিজে রক্ত দিলেন। আর সেই ছবি ক্যামেরাবন্দি করলেন হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয়রা। তাদের তোলা ওই মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন তারা। মুহূর্তে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। আর এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় একাধিক কমেন্ট করতে দেখা যায়-সত্যি মানবিকতার নজির এই মুহূর্তেই । যাদের এই মুহূর্তে আহার নিদ্রার সময় নেই, তাদের পক্ষে এমনই মুহূর্তে নিজের জীবনের ঝুঁকি থাকার পরেও মানবিকতা সত্যিই ভাবা যায় না গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ এই সাংবাদিকতার পেশা আর তারাই জনগণের জন্য এবং এমনই দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।