|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : জ্যৈষ্ঠের ঝড় মাথায় করে এসেছিলেন তিনি। এসেছিলেন বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহের বার্তা নিয়ে। তাঁর বিপ্লবে কেঁপে উঠেছিল প্রাচীন বাংলা সাহিত্য। তাঁর নব নবীনের গানে তৈরি হয়েছিল উচ্ছ্বল প্লাবন। তিনি বাংলার সম্প্রীতির সৈনিক কবি কাজী নজরুল ইসলাম। ইয়াস এর ভ্রুকুটি কে উপেক্ষা করে কোভিড বিধি মেনে তাঁকে স্মরণ করতে নজরুল দিবস পালনে এগিয়ে এলেন কবির এলাকার শ্রমজীবী মানুষ। রানিগঞ্জের শোনপুর বাজারি প্রজেক্ট অফিসের বৃহৎ হলে সাংস্কৃতিক সংগঠন ইন্দ্রধনুষের উদ্যোগে আয়োজিত হয় ‘নজরুল দিবস’ এর অনুষ্ঠান। কবির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও পুষ্পস্তবক প্রদান করেন প্রজেক্টের জিএম-আর কে শ্রীবাস্তব, এপিএম-আবীর মুখোপাধ্যায়, এছাড়াও সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তি কাজী মোশারফ হোসেন, মিলন কুমার নন্দী, তন্দ্রা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঘনশ্যাম রাউত, কালীসাধন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্টের বহু শ্রমজীবী মানুষ।
ইন্দ্রধনুষের ‘নজরুল দিবস’ এর এই অনুষ্ঠানে বিদ্রোহী কবির রচিত কবিতা আবৃত্তি করা হয়। আবৃত্তি করেন বিশিষ্ট আবৃত্তিকার কালীসাধন বন্দ্যোপাধ্যায়, মিলন কুমার নন্দী প্রমুখ। বিপ্লবী কবির সংগ্রামী জীবনের ওপর আলোকপাত করেন আর কে শ্রীবাস্তব। শ্রমজীবী মানুষের সম্মুখে কবির সম্প্রীতির আদর্শ তুলে ধরেন আবীর মুখোপাধ্যায়। বক্তব্য রাখতে গিয়ে কাজী মোশারফ হোসেন বলেন, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম শুধুমাত্র সংগ্রামের কবিতা গান লেখেননি। তাঁর জীবন জুড়ে ছিল লড়াই। প্রতিটি মানুষই লড়াই করছেন বিভিন্ন ভাবে। আমরাও লড়াই করছি আমাদের পরিসরে। কিন্তু কাজী নজরুল ইসলাম সংগ্রাম করতে করতে সংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। কবি নজরুলের সংগ্রামের ইতিহাস আমাদের কাছে প্রেরণার। কাজী মোশারফ হোসেনের আবেগময় বক্তৃতা উপস্থিত মানুষকে মোহিত করে তোলে।
কোভিড বিধি মেনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মানুষের হৃদয়ের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন মধুর কন্ঠের অধিকারী কাজী মোশারফ হোসেন ।