খেলার মাঠ নির্মান করতে স্কুলকে জমিদান গ্রামবাসীদের

আজিজুর রহমান, গলসি : স্কুলের খেলার মাঠ নির্মান করতে জমি দান করলেন গলসির মিঠাপুর গ্রামের উনিশ জন শুভানাধ্যায়ী মানুষ। এদিন তারা মিঠাপুর শ্রীদূর্গা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হক মল্লিক, বিদ্যালয় পরিদর্শক দেবকুমার ভক্ত ও পরিচালন সমিতির সভাপতি গদাধর চৌধুরীর হাতে জমির দলিল তুলে দেন। জমিদাতা বিদ্যুৎ কুমার সাম বলেন, তাদের তিন ভাইয়ের ৯ শতক জায়গা পূর্ব দিকে স্কুল লাগোয়া ছিল। পূর্বে তাদের গ্রামের বিভিন্ন মানু‌ষের দানে ওই স্কুলটি নির্মান হয়েছিল। যেখানে তার বাপ দাদুরা পড়াশোনা করেছেন। তাদের স্কুলের পড়ুয়ারা বিভিন্ন খেলাধুলায় ব্লক, জেলা ও রাজ্যে গিয়ে গ্রামের নাম উজ্জ্বল করেছেন। এদিকে স্কুলের নিজস্ব কোন মাঠ ছিলনা। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা গ্রামের ক্লাবের মাঠে নিত্য খেলাধুলা ও শরীরচর্চা করতো। তাই তারা গত শুক্রবার  ৯ শতক ওই জায়গাটি রেজিস্ট্রী করে দেন। তিনি জানিয়েছেন, ওই জায়গাটি ৭ – ৮ টি  পরিবারের দেড়বিঘা জমি ছিল। যেখানে মোট ১৯ জন শরিকান ছিলেন। আর এক জমিদাতা গাঙ্গাধর সাঁই বলেন আমি ওই স্কুলে ক্লার্ক পদে চাকরি করেছি। সেখান থেকে ২০০৮ অবসর নিয়েছি। স্কুলকে ভালবেসে আজও পাশে রয়েছি। স্কুলের পাশে পাঁচ ভাই অল্প একটু জায়গা ছিল সবটুকুই দান করে দিয়েছি। তিনি বলেন, সত্য কিংকর সাম চতুর্থাংশ জায়গার মালিক। তিনিও পূর্বে স্কুলের পরিচালন সমিতিতে জড়িত ছিলেন। তাছাড়াও সুকুমার সাম ও নবকুমার সামের এক চতুর্থাংশ জায়গা আছে। তারাও সমগ্র অংশ দান করেছেন। স্কুলের ইতিহাস বলতে গিয়ে তিনি বলেন, তিয়াত্তর চুয়াত্তর বছর পূর্বে  অধীর কুমার সাম, অমুল্য চন্দ্র কুন্ডু, শক্তিপদ সাম, খুদিরাম সাম, আদিত্যপ্রসাদ পাল, প্রফুল্যকুমার সাঁই, বিজয় কুমাই সাঁই, জয়চন্দ্র ঘোষ সহ অনেকে ওই স্কুল নির্মানে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। তখন জমিদান করে স্কুলটি নির্মান করেছিলেন। তারপর ১৯৫০ সালে দ্বিতীয় শ্রেনী প্রযন্ত সরকার অনুমোদন পায়। প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হক মল্লিক বলেন, গ্রামের অধিকাংশ মানুষই খুব ভালো। তারা মনপ্রান দিয়ে স্কুলকে ভালবাসেন। তাই স্কুলে লাগোয়া দেড় বিঘা জমিটি দানের অনুরোধ করেন। এরপরই গত শুক্রবার সকল শরিকানরা রেজিস্ট্রি করে দেন। এমন কাজের জন্য তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।