|
---|
আলম সেখ,নতুন গতি,মুর্শিদাবাদ: ৩ ডিসেম্বর ১৯৮৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন ক্ষুদিরাম বোস। সময়টা ছিল ইংরেজদের শাসনকাল। নিজের সামান্যতম জ্ঞান হওয়ার সাথে সাথে ইংরেজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর যাবতীয় কার্যকলাপে লিপ্ত হয়ে যায় ক্ষুদিরাম বোস। যখন ওনার বয়স ১৮ বছর তখন মোজফফরপুর ষড়যন্ত্র মামলায় তার ভূমিকার জন্য প্রফুল্ল চাকির সাথে ওনাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়, প্রফুল্ল চাকি গ্রেফতার হওয়ার পূর্বেই আত্মহত্যা করে দেই এবং খুদিরাম বোসুকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, মাত্র 18 বছর বয়সের একজন বিপ্লবী ভারতীয়কে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়াই ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সর্বকনিষ্ঠ শহীদদের মর্যাদা পান খুদিরাম বোস।
খুদিরাম বোস প্রফুল্ল চাকির সাথে ব্রিটিশ বিচারক ম্যাজিস্ট্রেট ডগলাস কিংসফোর্ডকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন এই অভিযোগ লাগানো হয় দুজনের উপর। ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড আলাদা গাড়িতে বসেছিল এবং বোমা ভিন্ন গাড়িতে ছোড়া হয়, বোমা নিক্ষেপের ফলস্বরূপ দুই ব্রিটিশ মহিলার মৃত্যু হয়ে যায়। প্রফুল্ল গ্রেপ্তারের আগে আত্মহত্যা করেছিলেন। দুই মহিলার হত্যার জন্য ক্ষুদিরামকে গ্রেপ্তার করে বিচার করা হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ফাঁসি দেওয়ার সময়, ক্ষুদিরামের বয়স ছিল ১৮ বছর, ৮ মাস, ১১ দিন, যার ফলে তিনি ভারতের দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম বিপ্লবীদের একজন হয়েছিলেন।দুই জন ব্রিটিশ মহিলার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছিলেন মহাত্মা গাঁধী। উনি বলেছিলেন এই ভাবে কোনদিন স্বাধীনতা আনা যাবে না। গতকালকেই ছিল সেই ক্ষুদিরাম বোসের শহিদ দিবস।
গতকাল মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে দেশের দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম শহিদ ক্ষুদিরাম বোসের শহিদ দিবস পালিত হলো । কালকে আমরা বাঙালি সংগঠনের নেতৃত্বে বহরমপুরের টেক্সটাইল মরে অনুষ্ঠিত ক্ষুদিরাম বোসের শহিদ দিবস । উপস্থিত ছিলেন – মুর্শিদাবাদ জেলা সচিব ডক্টর শ্রী স্বপন কুমার মণ্ডল, মুর্শিদাবাদ জেলা সহ সচিব শ্রী নিতাই চন্দ্র মণ্ডল, এবং সংগঠনের আরো নেতৃবৃন্দ।