|
---|
শুভদীপ পতি; পিংলা: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার অন্তর্গত ১নং কুশুমদা অঞ্চলের খিরিন্দা গ্রামের ছাত্রী গত ৮ই মার্চ স্কুল ইউনিফর্ম পরেই নিখোঁজ হয়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সুপর্ণা দত্ত(১৫) নামের এই ছাত্রী স্থানীয় গোপীনাথ দেবায়েত্য বিদ্যাপীঠে নবম শ্রেণীতে পাঠরত।ঘটনার পরের দিন ৯ই মার্চ সুপর্ণার পরিবার তরফে পিংলা থানায় এক নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, নিখোঁজের পরে সুপর্ণা এক পিসিও বুথ থেকে বাড়িতে কল করে। যেখানে সে পোক্তাপোল জায়গায় নাম উল্লেখ করে। পরিবারের অভিযোগ, এই ফোনের পরেই অনবরত অচেনা নাম্বার থেকে ফোন পাচ্ছেন নিখোঁজ ছাত্রী সুপর্ণার মা মীনা রানী দত্ত। যেখানে কোনো এক যুবক দাবি করছে, সে ডায়মণ্ডহারবার এলাকার বাসিন্দা। সুপর্ণার খোঁজ পেলে সে তাকেই বিয়ে করতে ইচ্ছুক।
এমন ফোন কলে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন সুপর্ণার পরিবার। পুনরায় এই সমস্ত ফোন কলের তথ্য থানায় জানাতে গেলে, মেয়েকে খুঁজে বের করতে পুলিশের তরফে সিগারেট আনতে বলা হয়। সুপর্ণার বাবা শঙ্কর দত্ত স্থানীয় দোকান থেকে সিগারেট কিনে পুলিশের হাতে দিলে, সেখানে বলা হয়, শুধু সিগারেট?
একথা শোনা এবং পুলিশের দৃষ্টি ভঙ্গিতে, টাকা ঘুষ চাওয়ার ইঙ্গিত পেতে থাকেন শঙ্কর বাবু। “নতুন গতি”-কে দেওয়া তথ্যে এমনই অভিযোগ করেছেন শঙ্কর বাবুর স্ত্রী মীনা দেবী। “নতুন গতি” তরফে পিংলা থানায় ফোন করে এই ঘটনার তথ্য চাইলে, পুলিশ তরফে কোনো সহযোগিতা মেলেনি।
মীনা দেবী বলেন, তিনি বর্তমানে বেশ অসুস্থ। তাঁর স্বামী শঙ্কর দত্ত চাষাবাদ করে কোনরকমে সংসার চালান। তাঁদের পক্ষ্যে পুলিশের সহযোগিতা ছাড়া মেয়েকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। মেয়েকে খুঁজে পেতে পথে রয়েছে দত্ত পরিবার।