ছেলে ধরা সন্দেহে আটক ব্যাক্তিদের নিজ নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে নজির গড়লেন বীরভূমের কাকড়তলা থানা

সেখ রিয়াজউদ্দিন, বীরভূম: সম্প্রতি বেশ কিছু দিন যাবৎ অন্যান্য জেলার পাশাপাশি বীরভূম জেলায় ও প্রচার শুরু হয়েছে বা রব উঠেছে ছেলে ধরা। কোথাকার কোন ভিডিও ভাইরাল হয়ে ছেলে ধরা প্রচার বেশি বেশি করে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন দৈনন্দিন। ফোনে যোগাযোগ হচ্ছে আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে সেখানে ও সেই এক কথা আমাদের পাশের গ্রামে ছেলে ধরা ধরা পড়েছে তোদের ঘরের বাচ্চাদের ও সাবধানে রাখবি। এই গুঞ্জন দৈনন্দিন মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বাড়তে থাকে, এই পরিস্থিতিতে কাকড়তলা থানার ওসি জাহিদুল ইসলামের পরিকল্পনা মাফিক গ্রামে গ্রামে মাইকিং করে সচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোর দেন। ছেলে ধরা নিয়ে কেউ গুজব ছড়াবেন না এবং সন্দেহ জনক কাউকে ঘোরাঘুরি করতে দেখলে থানায় খবর দেন, মারধর করবেন না। এই প্রচারের ফলে যে কাজ হয়েছে তাহা হাতেনাতে প্রমাণ পাওয়া যায় । সম্প্রতি কাকরতলা থানা সপ্তাহ ব্যাপী লাগাতার প্রচার চালিয়েছেন,তার ই ফসল বা লাভ তুলতে সক্ষম ওসি জাহিদুল ইসলাম। বিবরনে জানা যায় এক কিশোর এবং মানসিক ভারসাম্য হীন চার ব্যক্তি কে থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করে কাউকে হোমে, কাউকে মানসিক হাসপাতাল তো কাউকে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে নজর কেড়েছে এই থানা। সর্বশেষ গত শনিবার বছর ছাব্বিশের মানসিক ভারসাম্য হীন গোবিন্দ শ্রীবাস্তব কে বড়কোলা গ্রামে ছেলে ধরা সন্দেহে আটক থেকে মুক্ত করে থানায় নিয়ে আসে।

    পরে খোঁজ খবর নিয়ে উত্তর প্রদেশের ঠিকানার সন্ধান পাওয়া যায় এবং গোবিন্দ শ্রীবাস্তব এর বাড়ির লোকজন কে খবর দিয়ে ডেকে পাঠান। গোবিন্দর দাদা নন্দলাল শ্রীবাস্তব এর হাতে তার ভাইকে তুলে দেন,যার সেবা যত্নে থানায় অতিথি হিসেবে দায়িত্ব সহকারে আগলে ছিলেন সেই সিভিক ভলিন্টিয়ার বরুন ঘোষ সহ থানার অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের কাছে এই থানার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং অশ্রুসজল নয়নে তাকিয়ে তাকিয়ে থানা থেকে বিদায় নিল । উল্লেখ্য বর্তমান ওসি জাহিদুল ইসলাম একদা এই থানার সেকেন্ড অফিসার ছিলেন সেই সূত্রে এলাকা উনার নখদর্পণে তাছাড়া পুলিশ পাবলিকের যে গভীর সম্পর্ক তিনি গড়েছেন সেগুলোর আজকে মূল্য পাওয়া গেছে বলে এলাকার ছোট বড়, রাজনৈতিক, শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সকল স্তরের লোকজন স্বীকার করেছেন এবং থানার এই মহতি কাজ এলাকাবাসী হিসেবে গর্ব বোধ করছেন।