কীর্ণাহারে রবীন্দ্র নজরুল উৎসব

মতিয়ার রহমান : কীর্ণাহার কল্পতরু সংস্কৃতি সমিতির রবীন্দ্র নজরুল উৎসব অনুষ্ঠিত হলো কীর্ণাহার রবীন্দ্র স্মৃতি সমিতি টাউন লাইব্রেরির সভাকক্ষে। সকাল সাড়ে আটটায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠানে ছিল রবীন্দ্রনাথের ও নজরুলের ছবি আঁকা, কবিতা আবৃত্তি, সংগীত পরিবেশন ও প্রবন্ধ রচনা। সারাদিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড রোদ ও গরমকে উপেক্ষা করে অভিভাবক অভিভাবিকাদের সঙ্গে কচি কাঁচা অবুঝ সবুজ সাথীদের ভীড় ছিল নজর কাড়া। দুপুর পর্যন্ত জমজমাট অনুষ্ঠান। দ্বিপ্রহরের খাবার বিরতির পর কাঁটায় কাঁটায় ঠিক চারটের সময় শুরু হয় গুণীজন সংবর্ধনা ও মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতী ছাত্র ছাত্রী সম্মাননা প্রদান। অনুষ্ঠানে সাহিত্য সাধক মতিয়ার রহমান কেও রবীন্দ্র সম্মাননা জ্ঞাপন করে কল্পতরু সংস্কৃতি সমিতি। একটি সম্মাননা সনদ ও শ্রদ্ধাভাজন সুশিক্ষক সুসংগঠক ও বৃহত্তর কীর্ণাহার তথা বীরভূম জেলার পরিচিত মুখ উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব সাহিত্য সংস্কৃতিতে অপরিহার্য নাম স্যার অরুণ রায়ের লেখা একটি ইংরেজি গ্রন্থ, একটি ইংরেজি পত্রিকা ও শ্রীমদ্ভগবদগীতা গ্রন্থ উপহার সামগ্রী হিসেবে দেয়া হয়। অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ওই থানার ওসি মি ভকত, স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, কীর্ণাহার ব্যবসা সমিতির সম্পাদক, প্রাক্তন গ্রন্থাগরিক সহ কল্পতরু সংস্কৃতি সমিতির অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ওই থানার ওসি মি ভকত, স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, কীর্ণাহার ব্যবসা সমিতির সম্পাদক, প্রাক্তন গ্রন্থাগরিক সহ কল্পতরু সংস্কৃতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা স্যার অরুণ রায় প্রমুখ। এই রাজ্যে তাঁরই সম্পাদনায় একমাত্র ইংরেজি পত্রিকার উদ্যোগে ইংরেজি সাহিত্য উৎসব হয়ে থাকে। তাঁর বক্তব্যে ছিল সুস্থ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিকে সুদক্ষ সুনিপুণ ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মন্ত্র। বিকেল পাঁচটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত ছিল স্থানীয় বাচিক শিল্পী ও সঙ্গীত শিল্পীদের নিয়ে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক রবীন্দ্র নজরুল সন্ধ্যা।

    সবার জন্য টিফিন প্যাকেট ও জল ছাড়াও রায় হোটেলে বাঙালি হেঁশেলের সাদা ভাত ডাল আলু পোস্ত মাছ দই মিষ্টি পাঁপড়। পরিতৃপ্তির ঢেকুর তুলতে তুলতে আগামীর অপেক্ষায়!