কবি নজরুল ইসলাম বিশ্বাসের তিনটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ অনুষ্ঠান হল একযোগে

সংবাদাতা : গত ২২ অক্টোবর ২০২৪ ছিল মরমী কবি জীবনানন্দ দাশের মৃত্যুদিন। এই দিন সকাল আটটায় নদীয়া জেলার চাপড়া অঞ্চলে ‘নদীয়া নলেজ মিশন’ প্রাঙ্গণে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ‘যুগধারা’ পত্রিকার সম্পাদক ও বিশিষ্ট কবি, শিক্ষক এবং চিকিৎসক নজরুল ইসলাম বিশ্বাসের তিনটি কাব্যগ্রন্থের প্রকাশ অনুষ্ঠান হয়ে গেল। তাঁর ১৭তম কাব্যগ্রন্থ ‘মৃত্যুর উৎসব বাঁচবে না’, ১৮তম কাব্যগ্রন্থ ‘যে কথা হৃদয়ে ফোটে’ এবং ১৯তম কাব্যগ্রন্থ ‘হৃদয়ের অধিক হৃদয়ে’ একইসঙ্গে প্রকাশিত হয়।

    উদ্বোধনী সংগীত দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সংগীত পরিবেশন করেন উৎসা বিশ্বাস। ‘মৃত্যুর উৎসব বাঁচবে না’ কাব্যগ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করে শিক্ষাবিদ নূরউদ্দীন বিশ্বাস বলেন, “নজরুলের ছোট ছোট লেখা সকলের মনে রেখাপাত করবে। কালের বিচারে তা উত্তীর্ণ হোক। মহাকবি কালিদাসের ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’ কিংবা জীবনানন্দ দাশের ‘আবার আসিব ফিরে’ জনমানসে রেখাপাত করেছে। সেরকম নজরুল ইসলাম বিশ্বাসের কবিতা সমাদৃত হোক। ভালোবাসা দিয়েই কবি জয় করবেন সবার মন।” অন্যদিকে ‘যে কথা হৃদয়ে ফোটে’ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ করেন সাধক-কবি সাহার আলী। বক্তব্য রাখতে গিয়ে কবি সাহার আলী বলেন, “সমকালে কবিগুরু এবং চন্ডীদাসের রচনা অসাধারণ হলেও, পাঠক কর্তৃক সমাদৃত হয়েছে অনেক পরে। কবির গভীর ভাবনার মাধ্যমে হৃদয়ের আলোকিত কথামালা প্রেমের ধারা বয়ে আনে। সাধক রুমি, ওমর খৈয়াম বা লালন ফকিরের মতো সাধকের উন্মেষ ঘটেছে সারা বিশ্বে তার অনেক পরে।”
    এদিকে ১৯তম কাব্যগ্রন্থ ‘হৃদয়ের অধিক হৃদয়ে’ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করে অরুণকুমার চক্রবর্তী বলেন, “এই বই পাঠকের ভালো লাগবে।” সংশ্লিষ্ট কাব্যগ্রন্থ থেকে দুটি কবিতা পাঠ করেন তিনি। এছাড়াও বিশেষ অতিথি আহমদ আলী শেখ বলেন, “পোয়েট্রি ইজ দা ক্রিটিসিজম অফ লাইফ। কিন্তু পাঠক দুর্বোধ্য আধুনিক কবিতা পড়তে চায় না। সকলকে বইমুখী করার দায়িত্ব আমাদের।” উজ্জ্বল বাগচী বলেন, “ছোট্ট অনুষ্ঠানের গুরুত্ব অপরিসীম এবং প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলিও তাই।” শিক্ষক কৃষ্ণগোপাল দাস বলেন, “তুচ্ছ তৃণভূমি কিছুতেই মরে না। সেরকমই নজরুল ইসলাম বিশ্বাসের লেখা পাঠকের মনে রেখাপাত করবে।”
    এদিনের অনুষ্ঠানে আরও যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁরা হলেন মাজহারুল আনওয়ার শাহিন, আলাল শেখ, সব্যসাচী বিশ্বাস, মুস্তাকিম শেখ প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট কবি সাধন পাত্র।