|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: এর আগেও এই রকম তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা ঘটেছে কোচবিহারে। ফের ১০০ দিনের কাজ নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জখম হলেন ১ জন। বুধবার ঘটনাটি ঘটে বক্সিরহাট থানার মানসাইয়ে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি ঘোষিত বারকোদালি ২ অঞ্চল কমিটির সভাপতি স্মরজিৎ রাভা ও স্থানীয় তৃণমূলের ২৩৪ নম্বর বুথের পঞ্চায়েত সদস্য আজিদুল হক জানান, এদিন সকালে ওই বুথে ১০০ দিনের কাজ চলছিল। স্থানীয় যুবক তথা দলের কর্মী লুৎফর আলি ওরফে টোসন ওই কাজের দেখাশোনা করছিলেন। আজিদুল হক নিজেও কাজ কেমন হচ্ছে তা দেখতে সেখানে যাচ্ছিলেন। এমন সময় মেহের আলির নেতৃত্বে কয়েকজন দুষ্কৃতী লুৎফরের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তাঁকে চিকিৎসার জন্য কোচবিহার এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে খবর পেয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতির গোষ্ঠীর লোকেরা ব্লক সভাপতি ধনেশ্বর বর্মনের গোষ্ঠীর লোক হিসেবে পরিচিত দলের অঞ্চল কমিটির সহ সভাপতি তথা অভিযুক্ত মেহের আলির বাড়ির সামনে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বক্সিরহাট থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় র্যাফ। দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে পুলিশ সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ঘোষিত অঞ্চল কমিটির সহ সভাপতি মেহের আলি জানান, ওই এলাকায় বিশেষ কারণে দুইদিন ১০০ দিনের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। দলের ব্লক সভাপতি ধনেশ্বর বর্মনের নির্দেশে এদিন তাঁর উদ্যোগেই সেখানে কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই হিসেবে শ্রমিকরাও সেখানে আসতে শুরু করেন। পরে কাজ শুরু করতে তিনিও সেখানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। কিন্তু ইতিমধ্যেই খবর পান লুৎফর আলি কাজ বন্ধ করতে লোকজন নিয়ে সেখানে যান ও শ্রমিকদের সঙ্গে বচসা ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। তাতেই তিনি আহত হন। দলে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ও বিজেপিকে সাহায্য করতে ঘটনার দায় তাঁর উপর চাপাচ্ছেন আজিদুল হক। তিনি আরও জানান, স্মরজিৎ রাভাও দলের কেউ নন। তারা সবাই বিজেপির হয়ে কাজ করছেন এবং দলের নাম ভাঙিয়ে দলের ক্ষতি করছেন। অপরদিকে মেহের আলি ও তার সঙ্গীদেরও দলের কেউ বলে মানতে নারাজ স্মরজিৎ রাভা ও আজিদুল হকরা। বক্সিরহাট থানার ওসি অ্যান্থনী হোড়া জানান, বর্তমানে এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।