কলকাতায় দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো ‘ওয়ার্ল্ড ক্যাম্পাস ওভারসিজ স্টাডিজ স্টুডেন্টস মেগা ইভেন্ট’

সম্প্রীতি মোল,কলকাতা : বাংলারই মেধাবী ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কম নয়। অথচ আর্থিক সীমাবদ্ধতার জন্য উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার স্বপ্নই স্বপ্ন থেকে যায়। কিন্তু এখন সেই স্বপ্ন সফল করা কোনো সমস্যা নয়। এমনটাই জানালেন বিদ্যা ডট কম কনসালটেন্সি র প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক অজন্তা সিনহা রায়। কলকাতার গঙ্গাবক্ষে ভাসমান এক হোটেলে দুদিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার এক ক্যাম্পাস আয়োজন করে বিদ্যা, ডট কম কনসালটেন্সি।

    অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কলকাতার বিশিষ্ট কিছু শিক্ষাবিদ ও বিভিন্ন বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকেরা।ছিলেন দুবাইয়ের মনিপাল একাডেমী অফ হায়ার এডুকেশন ক্যাম্পাস ,
    সিঙ্গাপুরের জেমস কুক ইউনিভার্সিটি, বার্লিন স্কুল অফ বিজনেস অ্যান্ড ইনোভেশন , লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অফ রোহ্যাম্পটন, মারকুইট ইউনিভার্সিটি, জেনিথ ফোরেক্স ও বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। প্রদীপ জ্বালিয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক, মেন্টর ও চ্যান্সেলরের উপদেষ্টা শান্তনু রায়।

    সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শান্তনু রায় জানান, -‘বিদ্যা ডট কম উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহীদের বিদেশে পড়ার ক্ষেত্রে সঠিক পরামর্শ দিয়ে এক সামাজিক মহান দায়িত্ব পালন করছে। তবে আশা করবো, ছাত্রছাত্রীরা বিদেশ থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশে ফিরে এসে দেশকে সমৃদ্ধ করবেন। আমি নিজেও বিদেশে পড়াশুনো করে দেশে ফিরে এসেছি। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক অজন্তা সিনহা রায় বলেন, আমরা বিদেশে পড়তে ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে পরামর্শ দিই। ২০০৯ সালে আমি একজন নবীন নাগরিক হিসেবে বেঙ্গালুরুতে এই প্রতিষ্ঠান শুরু করি। সেখানকার আর্থ-সামাজিক অবস্থান উন্নত হওয়ায় আমেরিকা,অস্ট্রেলিয়া বা কানাডায় পড়তে যাওয়ার চাহিদার স্বপ্ন পূরণ করেছি। এখন সময় বদলেছে। কলকাতার অফিস শুরুর পর দেখেছি, বাংলার ছাত্রছাত্রীরা দেশের যে কোনো অংশের তুলনায় মেধায় অনেক এগিয়ে। তাই যাঁরা আর্থিকভাবে সমর্থ তাঁরা ছাড়াও যাঁরা আর্থিকভাবে দূর্বল ,তাঁদের ব্যাংকের ঋণের ব্যবস্থা করে তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী বিদেশের শিক্ষালয়ে পড়ার ব্যবস্থা করে দিই। এমনকি যাঁদের সামর্থ নেই, তাঁদের বিদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থাও করি। বিদেশের এমন কিছু শিক্ষালয় আছে, যেখানে বার্ষিক একটা স্টাইফেনের ব্যবস্থাও করে দিই। আমি এও জানাতে চাই, ফিনল্যান্ডে এমন কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, যেখানে যাঁরা পড়তে পড়তে মাঝপথে ড্রপআউট হয়ে পড়েন, তাঁদের যে কোনো বয়সে পড়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। যা আমেরিকা, কানাডা বা অস্ট্রেলিয়ায় সম্ভব নয়। সাউথ কোরিয়া,, সেখানে পড়তে চাইলে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত খরচ মকুব করা হয়। ফিনল্যান্ডের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা বিয়ে করলেও ছাত্রের স্বামী বা স্ত্রীরও সেখানে চাকরির ব্যবস্থায় সহযোগিতা করে। মরিশাসে মাত্র আড়াই লাখ টাকায় এম বি এ করা যায়। যা ভারতেও সম্ভব নয়’।অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবেলাল হুসেন জানান,-‘বাংলাদেশে এই দেশ থেকে প্রচুর সংখ্যক ছাত্রছাত্রী মেডিক্যাল শিক্ষা নিতে যাচ্ছেন গত ১৫/২০ বছর ধরে। যেহেতু ভারতের সঙ্গে আমাদের বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আন্তরিক,তাছাড়া খাদ্য, শিল্প ও ভাষা সংস্কৃতি এক, তাই বাংলাদেশে ভারত তথা পশ্চিমবাংলার ছাত্রছাত্রীদের অনেক সুবিধে’। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উৎসাহী ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল আশাব্যঞ্জক।