কলকাতা অনুভব-এর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা

নিজস্ব প্রতিনিধি : ‘কলকাতা অনুভব’,ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের সহযোগিতায়, ২৩ শে অক্টোবর,শনিবার রোটারি সদন মঞ্চে ‘দেবী দ্য সেলিব্রেশন অফ ওম্যানহুড’ নামাঙ্কিত একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে গেল।উদ্বোধনী নৃত্য মাধুর্যপূর্নভাবে পরিবেশন করেন ‘কলকাতা অনুভব’-এর সুযোগ্যা ছাত্রী আয়ুষ্মী সাঁতরা।প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন ডঃ হৈমন্তী চট্টোপাধ্যায়,মেম্বার সেক্রেটারি ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট অ্যাকাডেমী অফ ড্যান্স ড্রামা মিউজিক অ্যান্ড ভিজুয়াল আর্টস, কলকাতা।এরপর প্রধান অতিথি এবং উপস্থিত বিশিষ্ট অতিথিগন শ্রী ধ্রুব মিত্র,শ্রী নৌশাদ মল্লিক,প্রফেসর তারক সেনগুপ্ত, শ্রী অভিজিৎ সাঁতরা, ডাঃ কৌশিক রায়চৌধুরী ও ডাঃ দেবাংশু দাস তাঁদের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।এরপর এই অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ‘দেবী দ্য সেলিব্রেশন অফ ওম্যানহুড’ একটি নৃত্য নাটিকা।এই নৃত্যনাটিকাটি পরিচালনা করেন প্রখ্যাতা ওডিসি নৃত্যশিল্পী শ্রীমতি বিজয়া দত্ত,শিষ্যা গুরু কেলুচরণ মহাপাত্র ও গুরু পৌষালি মুখোপাধ্যায় ও শ্রী রাজীব ভট্টাচার্য,প্রখ্যাতা ওডিসি নৃত্যশিল্পী, শিষ্য গুরু কেলুচরণ মহাপাত্র ও গুরু রথিকান্ত মহাপাত্র।

    বিষয় ভাবনা,চিত্রনাট্য ও সংকলনে শ্রীমতী কৃষ্ণা দত্ত,শ্রীমতী সুমনা ঘোষ দোস্তিদার,শ্রী পবিত্র কুমার ঘোষ,শ্রীমতি দেবযানী সেনগুপ্ত ও বিজয়া দত্ত।নৃত্যের প্রতিটি পরিসরে ও ভঙ্গিমায় বিজয়া দত্ত ও রাজীব ভট্টাচার্য অত্যন্ত সাবলীল অভিব্যক্তির মাধ্যমে দর্শককে নন্দন তত্বের নান্দনিকতায় আবিষ্ঠ করে রাখে।এরপর শ্রীমতী কৃষ্ণা দত্ত পরিচালিত ‘নারী, শক্তির উৎস’ একটি নাটিকা দর্শকদের আপ্লুত করে।এই নাটকে আয়ুস্মি সাঁতরা ও মাস্টার উদ্ভব দাসের অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করে।মুখ্য চরিত্রাভিনেত্রী কৃষ্ণা দত্তের সংলাপের ব্যবহার,সঠিক স্বর নিক্ষেপ, আবেগের তাললয়কে সহজ সাবলীলতায় স্পর্শ করার ক্ষমতা এক অপরিসীম উচ্চখ্যাতির অভিনয়ের পরিচয় দেয়।এই সুন্দর নাটকটির পর মূকাভিনয় “স্বচ্ছ ভারত অভিযান” মঞ্চস্থ হয়।মূকাভিনয়টির রূপায়ণ করেন সদীপ ভট্টাচার্য,কলকাতা আনুভবের সুযোগ্য ছাত্র।এরপর একগুচ্ছ গান শুনি সঞ্জীব ঘোষের শ্রুতিমধুর কণ্ঠে।গানের পর একটি হৃদয়গ্রাহী নৃত্য পরিবেশন করেন কলকাতা অনুভবের সদস্যা মিনাক্ষী চতুর্বেদী।নৃত্যের পর বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী ও তাঁর সুযোগ্য ছাত্র জিৎ চক্রবর্তী ও সুজয় রায়কে নিয়ে একটি সুন্দর মূকাভিনয় পরিবেশন করেন।এরপরে তনুশ্রী মিত্র তাঁর সুললিত কণ্ঠে একটি সঙ্গীত পরিবেশন করেন।এরপর মূকাভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মুগ্ধ করেন রতন চক্রবর্তী।কলকাতা অনুভবের আরেকছাত্র বিষ্ণু দাসের নৃত্য উপস্থাপনা মনোমুগ্ধ করে।এরপর প্রখ্যাত সাংবাদিক ও টেলিফিল্ম পরিচালক নৌশাদ মল্লিকের স্বরচিত কবিতা দর্শক শ্রোতাদের আপ্লুত করে।

    এরপর একক অভিনয় ও মূকাভিনয়ের মাধ্যমে সায়ন দত্ত,কলকাতা অনুভবের এক ছাত্র দর্শকদের মুগ্ধতায় আবিষ্ট করে।এরপর সুললিত কণ্ঠে শিবপ্রিয়া সেনগুপ্ত দর্শক শ্রোতাদের একটি আবৃত্তি উপহার দেন।আবৃত্তির পর দুটি অসাধারণ মূকাভিনয়ের পরিবেশন করেন কলকাতা অনুভবের মুক ও বধির সদস্য দিলীপ ভট্টাচার্য ও নির্বাক শান্তিপুরের রূপায়ণ চৌধুরীর ছাত্রছাত্রীরা।অনুষ্ঠানের সর্বশেষ পরিবেশনা কলকাতা অনুভব-এর ছাত্রী সবিতা ঘোষ ও শিলা চট্টোপাধ্যায়ের দ্বারা চমৎকার ভাবে অভিনীত নাটক ‘ঘেঁটে ঘ’ দর্শকদের মুগ্ধ করে।সিনথেসাইজার বাজিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেন পঞ্চানন দালাল।
    সমগ্র অনুষ্ঠানটি যথাযোগ্যভাবে পরিচালনা করেন শ্রী সুদীপ্ত রায়।