|
---|
বাবলু হাসান লস্কর, কালিঘাট : শেল্টার ফর আরবান হোমলেস-কলকাতার কালীঘাট -মিউনিসিপালিটি কর্পোরেশন ও শুডার সহায়তায় পথ শিশুদের নিয়ে মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেল্টার ফর হোমলেস এর শুভ উদ্বোধন করলেন এই সংগঠনের সেক্রেটারি কাজল দাস, মোনালিসা সিনহা, শ্যামলী দাস, কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গা হাজরা রাসবিহারী কালীঘাট সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার রাজা বাজার বালিগঞ্জ- বালিগঞ্জ ফাঁড়ি, রামকৃষ্ণ মুখার্জী রোড সহ একাধিক এলাকার ফুটপাত খালপাড় ও বস্তিতে বসবাসকারী গৃহহীন বস্ত্রবাস কারীদের জন্য রেশন কার্ড ব্যাংকের বই আধার কার্ড ভোটার কার্ড শিশুদের বিদ্যালয় ভর্তি ইত্যাদি কাজ করে থাকেন তারা। বর্তমানে কালীঘাট বালি উত্তরপাড়া এবং টিটাগড় একাধিক শেল্টার ফর আরবান হোমলেস সেন্টার তারা পরিচালনা করে আসছে । আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া সমাজের মানুষদের জন্য আধার কার্ড ব্যাংক একাউন্ট লক্ষীর ভান্ডার স্বাস্থ্য সাথী সহ একাধিক সুবিধাগুলি পেতে যা প্রয়োজন তারও ব্যবস্থা করেন তারা। সমস্যাবহুল মানুষদের পাইয়ে দিতে সরকারের সাথে সহযোগিতা করে কাজ করছেন। ১৫ ইং আগষ্ট ১২ জানুয়ারি ২৩ শে জানুয়ারি ২৬ শে জানুয়ারী,ও রাখি উৎসব,বড়োদিন সহ বিশেষ দিন গুলোতে যথাযথ মর্যাদার সহিত পালন করে আসছে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাদের উল্লেখযোগ্য কর্মসূচির মধ্যে হেল্থ ক্যাম্প বিনা ব্যয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির, রক্তদান, রবীন্দ্র নজরুল জন্ম জয়ন্তী উদযাপন। দুর্ঘটনা কবলিত মানুষদের সহায়তা হাসপাতালে ভর্তি একাধিক সেবামূলক কর্মকাণ্ড ও করে আসছেন তারা। যাদের আপনজন বলতে কেউ নেই- নেই পরিবারবর্গ,আর সেই সমস্ত মানুষদের দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছে তারা। আগামী প্রজন্ম যাতে ভালোভাবে এবং মূল স্রোতে ফিরে আসতে পারে তার জন্য আস্থা নামক এই সংগঠন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে সমাজসেবা করে আসছে । আর তাদের সদস্যের কথায় কালীঘাট দুইটি সেন্টার আছে আস্থার, ২০২০ ফেব্রুয়ারিতে পথচলা শুরু করে ১৪০ জনের মাথা গোজার ঠাঁই করে তারা। এছাড়া হুগলির বালি,উওর পাড়া, তারেকেশ্বর ,চন্দননগর, টিটাগড় দক্ষিণ ২৪ পরগনা রাজপুর সোনারপুর, মানুষদেরকে মাথা গোজার ঠাই এবং পেট ভরে অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের ও ব্যবস্থা করছেন তারা, কোভিড এর সময়ে যখন মানুষ গৃহবন্দি এবং যাদের একমাত্র উপার্জনকারী কাজ হারা দিনমজুর যাদের পরিবারের অন্ন যোগাড় করার অবস্থায় ছিল না তাদের পাশে থেকে মানবিকতার নজির গড়েছে তারা। করুন দুর্দশার মধ্যে পড়া আস্থার সহযোগিতায় তারা নতুন করে পথ চলা শুরুও করে। খাদ্য বস্ত্র এবং প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র নিয়ে একাধিক এলাকার পথ শিশুদের সম্মুখে দেবদূতের মত আবির্ভাব হয়েছিল তারা। আজ এই কালীঘাটে এখানেই তাদের সমস্ত ভরণপোষণ ফ্যামিলি সেন্টার ১৪০ জনের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয় আস্থার। আরো একটি কালীঘাট ইউনিট এবং এই কালীঘাট ইউনিট সেন্টারে ১২ জন কর্মীরা সেন্টার দেখবাহাল করে আসছে। উক্ত অনুষ্ঠানে দেখা গেল রাসবিহারী বিধানসভার বিধায়ক দেবাশীষ কুমার, কলকাতা মিউনিসিপালিটি কর্পোরেশনের মিতালী মুখার্জী, কলকাতা বোরো ৮এর চৈতালি চট্টপাধ্যায়, ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রবীর মুখার্জি, সহ একাধিক গুণীজনদের। কালীঘাটের এক গৃহহীন অপর্ণা দাসের কথায় উঠে এলো ১৭ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে তার মতানৈক্য হয় স্বামী তাকে ভরণ পশুর না দেওয়ায় নিজে থেকে এই কালীঘাটের এই এলাকায় মানুষের বাড়িতে কাজ করে সন্তানদের মানুষ করছেন। তার বড় সন্তানের ২৪ বছর তাদেরও সংসার আছে, দ্বিতীয়টি কুড়ি বছর এবং ১৮ বছর তার আর এক সন্তান এই মুহূর্তেই তারা অসহায় কি করবে কোথায় থাকবে এবং কেমন ভাবে তাদের জীবিকা নির্বাহ হবে সেই চিন্তায় অধীর আগ্রহে আজ দেখা গেল তাদেরকে। কালীঘাট সংলগ্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের উচ্ছিষ্ট মধ্যে যে সমস্ত বস্তু পাওয়া যায় সেগুলো অপরিষ্কারের মধ্যে পরিষ্কার করে নিয়ে বাজারজাত করে আয় এতে যেটুকু রুজি রোজগার হয় তা দিয়ে চলে সংসার। তাদের কথায় আমরা যদি এমন জায়গায় থাকার ব্যবস্থা পাই তাহলে খুবই ভালো হয়।।