|
---|
লুতুব আলি, নতুন গতি : কলকাতা প্রেস ক্লাবে ভারতের জাতীয় পতাকার জন্মদিন পালন। ২২ জুলাই কলকাতা প্রেস ক্লাবে মর্যাদার সঙ্গে পালিত হল ঐতিহ্যবাহী ভারতের জাতীয় পতাকার জন্মদিন। আয়োজক: সাহিত্য লোক পত্রিকা। কলকাতা প্রেস ক্লাবে জাতীয় পতাকার জন্মদিন পালন অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ বিশিষ্ট সংগঠক, সাহিত্য লোক পত্রিকার সম্পাদক চন্দ্রনাথ বসু। সেদিনের অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উত্তরসূরী বিশিষ্ট কবি জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়, রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরসূরী বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার পরাশর বন্দ্যোপাধ্যায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের উত্তরসূরী তথা বিদ্যাসাগর মিশনের কর্ণধার তথা বিশিষ্ট সাহিত্যিক অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের নাতি অধ্যাপক প্রসাদ রঞ্জন দাস, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার এর বংশধর তানি সেন, প্রিয়নাথ দের বংশধর দীপা দাস, বিশিষ্ট সাহিত্যিক রাজীব শ্রাবণ। এঁদের প্রত্যেকের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন চন্দ্রনাথ বসু। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালের ৩রা জুন যখন ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা করলেন ১৫ ই আগস্টে ভারত স্বাধীনভাবে, গণপরিষদ তখন একটা অস্থায়ী কমিটি তৈরি করলেন স্বাধীন ভারতের পতাকা তৈরি করার জন্য। ১৯৪৭ সালের ২২ শে জুলাই ভারতের গণপরিষদে জাতীয় পতাকার নকশা গৃহীত হয়। এই জাতীয় পতাকার নকশা তৈরি করেন পিঙ্গালী বেঙ্কাইয়া। ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট মধ্য রাত্রিতে এই জাতীয় পতাকা জাতির উদ্দেশ্যে গণপরিষদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আর ও উল্লেখ্য, ১৯০৬ সালের ৭ই আগস্ট কলকাতার প্রার্থী বাগানে ভারতের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়েছিল। পতাকাটি সবুজ, হলুদ ও লাল রঙের তিনটি অনুভূমিক ক্ষেত্র দ্বারা গঠিত ছিল। উপরের সবুজ অংশে আটটি সাদা পদ্ম আঁকা ছিল, হলুদ অংশে দেবনাগরী ভাষায় নীল রং দিয়ে বন্দেমাতরম লেখা ছিল এবং লাল অংশের এক দিকে সাদা রংয়ের সূর্য ও অন্যদিকে অর্ধচন্দ্র আশা ছিল। বর্তমানে জাতীয় পতাকা গেরুয়া, সাদা , সাদার ভিতরে অশোক চক্র এবং স্বর্গ নিম্নে সবুজ রং। ভারতের জাতীয় পতাকার ঐতিহ্য, মর্যাদা ও গৌরব কে ধরে রাখার জন্য এদিনের অনুষ্ঠানে আলোচকরা বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেন।