করোনা কালে আবিষ্কার করলেন ‘পকেট ভেন্টিলেটর’ কলকাতার বিজ্ঞানী রমেন্দ্রলাল মুখার্জি

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: করোনা কালে ভেন্টিলেটরের অভাবে মৃত্যু হয়েছে। আবার অনেকের পক্ষে টানা ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়, কারণ এর খরচ অনেক। কলকাতার বিজ্ঞানী রমেন্দ্রলাল মুখার্জি উপায় বের করলেন। আবিষ্কার করলেন ‘পকেট ভেন্টিলেটর’। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে অত্যন্ত ছোট এবং হালকা ওজনের এই যন্ত্রটি। কিন্তু বিপদের সময়, শ্বাসকষ্টে দারুণ উপকার দেবে। পোর্টেবল এই ভেন্টিলেটর ব্যাটারিচালিত।

    রমেন্দ্রলাল পেশায় ইঞ্জিনিয়র, কিন্তু এটা ওটা আবিষ্কার করতে ভালবাসেন। বলা যায় শখের বিজ্ঞানী। তিনিই এমন এক বস্তু আবিষ্কার করলেন যা এর আগে কেউ ভাবেইনি।

    তাঁর মাথায় এই আইডিয়া আসার কারণ, নিজেরই অক্সিজেন স্যাচুরেশন মাত্রা নেমে গিয়েছিল ৮৮তে। পরিবারের লোকজন বারবার হাসপাতালে ভর্তি হতে জোরাজুরি করেন। যদিও সে যাত্রা সুস্থ হয়ে যান। এরপরেই পকেট ভেন্টিলেটর বানানোর আইডিয়া মাথায় চাপে। প্ল্যান ছকে নেন রমেন্দ্রলাল, দরকারি সরঞ্জাম জোগাড় করেন এবং দিন কুড়ির মধ্যে প্রথম প্রোটোটাইপ তৈরি হয়ে যায়।

    যন্ত্রটির দুটি অংশ। একটি পাওয়ার ইউনিট এবং অন্যটি ভেন্টিলেশনের অংশ যার সঙ্গে জুড়ে আছে মাউথপিস।

    সুইচ অন করার সঙ্গে সঙ্গে বাইরে বাতাস সংগ্রহ করে আল্ট্রাভায়োলেট চেম্বার দিয়ে যায় যা সমস্ত জীবাণু মেরে ফেলে। এরপর ভেতরের একটি মেশিনের সাহায্যে শুদ্ধ বাতাস প্রবেশের গতি বেড়ে যায়। রোগী নিঃশ্বাসের সঙ্গে যে কার্বন ডাই অক্সাইড ছাড়ে তাও ইউভি চেম্বারের মধ্যে দিয়ে যায়। এমনকী কোভিড রোগীর ছাড়া নিঃশ্বাসে থাকা কোভিড ভাইরাসও মেরে ফেলে যন্ত্রটি। ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কাও একেবারে কমে যায়।

    মাত্র ২৫০ গ্রামের এই ভেন্টিলেটরে রয়েছে পুনরায় চার্জ দেওয়ার ব্যাটারি, যা স্মার্টফোনের ইউএসবি পোর্ট দিয়ে চার্জ করা যায়।