|
---|
হরিশ্চন্দ্রপুর, মহ: নাজিম আক্তার,২৫ ডিসেম্বর: রাজ্য সরকারের কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের তুলসিহাটা বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন মাঠে শুরু হল মাটি কৃষি উদ্যান পালন, মত্স্য, কৃষি বিপণন, সমবায় ও প্রাণী সম্পদ মেলা। চলবে ২৫, ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর তিনদিন ব্যাপী।
মেলা প্রাঙ্গণে ফিতে কেটে ও প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ভাইস চেয়ারম্যান তজমুল হোসেন।এছাড়াও এদিন শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনির্বাণ বসু, মালদা জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি চন্দনা সরকার, মালদা জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল হোসেন, মালদা জেলা পরিষদের শিশু কল্যাণ ও ত্রাণ কর্মাধ্যক্ষ মার্জিনা খাতুন, মালদা জেলা পরিষদের সদস্য সন্তোষ চৌধুরী, হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের কৃষি সহ অধিকর্তা পলাশ সিন্ধিয়া, কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক আশরফ আলী, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কোয়েল দাস, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মঞ্জুর ইকবাল সহ জেলার অন্যান্য কৃষি আধিকারিক ও ব্লক কৃষি আধিকারিক গন।
এদিন মেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠান মঞ্চে কৃষক বন্ধুদের চেক, কিষান ক্রেডিট কার্ড ও মাটি স্বাস্থ্য কার্ড প্রদান সহ কৃষকদের কৃষিকাজের বীজ প্রদান করা হয়। কৃষি মেলাকে ঘিরে মেলা প্রাঙ্গণে সরকারী প্রকল্পের ১৮ টি স্টল করা হয়েছে। তিন দিনের মেলা ঘিরে কৃষকদের নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া সহ স্থানীয় ও বহিরাগত শিল্পীদের দ্বারা মনোগ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা যায়।
এদিন তজমুল হোসেন বলেন, গোটা রাজ্য জুড়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় কৃষক মেলা শুরু হয়েছে, তারই অঙ্গ হিসেবে আজকে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকে কৃষি দপ্তরের মেলা শুরু হল। এখানে সরকারী দপ্তরের বিভিন্ন স্টল রয়েছে, যা সাধারণ মানুষ সহ ব্লকের কৃষকদের কৃষি কাজে উপকৃত হবেন। অন্য দিকে ব্লক কৃষি সহায়ক আশরাফ আলি কৃষি মেলার মাধ্যমে ব্লকের কৃষকদের কৃষি কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া সহ নানান ধরনের সহযোগিতা করা হবে এবং সারা বছর ব্লক কৃষি দপ্তরের উদ্যেগে যে কৃষকদের বিভিন্ন সরকারী মূলক জিনিসপত্র দেওয়া হয়, তা কৃষকদের অবগত করা হবে বলে জানান।
এদিন কৃষি মেলা প্রাঙ্গণে দেখা যায় বিভিন্ন শাকসবজি প্রদর্শনী স্টল। হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা কৃষকরা প্রদর্শনীর জন্য সাজিয়ে রেখেছে তাদের শাকসবজি। হরিশ্চন্দ্রপুর- ১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর জিপির রামপুর গ্রামের এক কৃষক মহ:সামিম ব্লক ও জেলা কৃষি আধিকারিকদের জানান বন্যার জলে তার ধান নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য সে শস্য বীমাও করেছিল। এমনকি কৃষি আধিকারিকদের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন। তিন মাস কেটে গেলেও এখনো পর্যন্ত সে কোন ক্ষতিপূরণ পায়নি বলে জানান। ব্যাংক থেকে কৃষি ঋণ নিয়ে এবছর সে ধান চাষ করেছিল। কিভাবে সে কৃষি ঋণ শোধ করবে ও তার সারা বছর সংসার চলবে এই চিন্তায় তার কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। কৃষি আধিকারিকরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে তার ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন।