এই মুহূর্তে কুলতলীর জয়নগর রুরাল হাসপাতাল খবরের শিরোনামে

বাবলু হাসান লস্কর, কুলতলিদক্ষিণ চব্বিশ পরগনা: দীর্ঘদিনেরগাঙ্গেয় সুন্দরবন লাগোয়া কুলতলিতে তিলে তিলে গড়ে ওঠা জয়নগর রুরাল হাসপাতাল। বেশ কিছু দিন যাবত জরাজীর্ণ ভগ্নঅবস্থায় থাকার পর এলাকার সমাজ কর্মীরা সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে- সংগতি সম্পন্ন মানুষদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে জয়নগর রুরাল হাসপাতাল কে নবরূপে সজ্জিত করেন।

    বিশাল এক বিল্ডিং দীর্ঘদিন যাবত স্বাস্থ্যকর্মী সহ রুগি থাকার অযোগ্য হয়ে পড়ায় ডাক্তার ও নার্সরা- পরিষেবা দেবার মত পরিস্থিতি না থাকায় মুস্কিলে পড়তেন। রোগীর আত্মীয় স্বজনেরা রুগি কে দেখতে হাসপাতালে আসতে ভয় পেতেন। অচল অবস্থায় দেখে গ্রামের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষেরা নিজেদের অর্থ দিয়ে তিলে তিলে গড়ে তুলেছিলেন এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিশাল এক বিল্ডিং।

    তারপরে অচলাবস্থা কাটিয়ে পালাবদলের পরেও কুলতলি তে অবস্থিত জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতাল, নামের সঙ্গে এলাকার মিল না থাকলেও দীর্ঘদিন চলে আসা জয়নগর নামে কুলতলী প্রধান প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষ যেখানে নদীতে কুমির লোকালয় সংলগ্ন বনাঞ্চলে বাঘের আনাগোনার মধ্যে দিয়ে জীবন জীবিকার তাগিদে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় কবলে পড়ার পরে ও পিছপা হয়না। প্রতিটি বছরে প্রাকৃতিক বিপর্যয় সর্বস্বান্ত করার পরে ও ভীটেভদ্রাসন থেকে সরেনি এই এলাকার মানুষ জন। পরিযায়ী্ শ্রমিকরা কর্ম সূত্রে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিতে এই মুহূর্তে তাদের প্রয়োজন করোনা সংক্রামনের প্রতিষেধক টিকা,তা পর্যাপ্ত পরিমাণে না মেলায় হতাশায় ভুগছেন বহু শ্রমিক। এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধীনস্থ ভুবনেশ্বরী,কৈখালি স্বাস্থ্য কেন্দ্র দুটির বেহাল দশা। কাঁটামারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রেটি নবরূপে সজ্জিত হলেও মিলছে না ডাক্তার সহ স্বাস্থ্যকর্মীর দেখা। এখানে সময় মতো মাতৃত্বকালীন পরিষেবা ঠিকমত না মেলায় শহরে অবস্থিত জেলা হাসপাতালের উপর নির্ভরসীল হতে হয় । বাঘ,কুমির- প্রাকৃতিক বিপর্যয় কাটিয়ে জীবন জীবিকার স্বার্থে নদীতে মাছ কাঁকড়া ধরে সংসার নির্বাহ করে- তাদের পক্ষে ন্যূনতম প্রাথমিক পরিষেবা পেতে বেগ পেতে হচ্ছে। বিনা খরচে সরকারের পক্ষ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও পিছিয়ে পড়া কুলতলি বাসি সরকারের পরিষেবা থেকে অনেকাংশে বঞ্চিত।এলাকাবাসীর দাবি আগামী দিনগুলিতে অবহেলিত মানুষদের সুচিকিৎসার সমস্ত রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করুক এইনি দাবিজানায়।