|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : সচেতনতার অভাব না-কি দরিদ্রতা? সরকারি নির্দেশিকা এড়িয়ে নাবালিকার বিবাহ প্রস্তুতি পরিবারের। পরিবারের একমাত্র কন্যার বিবাহ প্রস্তুতি চলছে জোড় কদমে। হাওড়া রামচন্দ্রপুরের নান্টু ও কাকলি ব্যানার্জীর একমাত্র কন্যার বিবাহ, দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে, কয়েকদিন পার হলেই বিবাহ। সেই বাড়িতেই হাজির ব্লক সমষ্টি আধিকারিক সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সাঁকরাইল রামচন্দ্রপুর ব্যানার্জি পরিবারে শুক্রবার হাজির সাঁকরাইল বিডিও নাজিরুদ্দিন সরকার, জয়েন্ট বিডিও রিমা রায়, সমাজ কল্লান বিভাগে দায়িত্বে থাকা আধিকারিক অরুণিমা ঘোষ এবং সাঁকরাইল পঞ্চায়েত প্রধান। জানা যায় নান্টু ও কাকলির একমাত্র কন্যা সংগীতার বয়স সবে ষোল বছর পার করেছে। সরকারিভাবে কঠোর নির্দেশিকা বিবাহযোগ্য মেয়ের বয়স হতে হবে কমপক্ষে ১৮ বছর। ব্যানার্জী পরিবারে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করেই চলছিল বিবাহ প্রস্তুতি।তবে সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ মতো বিবাহ স্থগিতা করে ওই পরিবার।কী কারণে পরিবারের পক্ষ থেকে নাবালিকার বিবাহ প্রস্তুতি চলছিল আধিকারিকরা তা জানতে চাইলে, পরিবারের তরফে ফুটে ওঠে অসচেতনতা এবং দরিদ্রতা। দিন এনে দিন খাওয়া নান্টু একজন কারখানার শ্রমিক, কারখানায় কাজ করে কোন রকমে দিন পার হয়। বছর দেড়েক হল লকডাউনে সেই কাজ হারিয়েছে। বর্তমানে মুদির দোকানের কর্মচারী সে। সামান্যটুকু আয় দিয়ে কোনরকমে সংসার অতিবাহিত।ওই পরিবারের অভিযোগ এমত অবস্থায় মেলেনি কোনরকম সরকারি সুযোগ-সুবিধা।এখনও বহু দরিদ্র পরিবার মনে করেন কন্যাসন্তান মানে তাদের বোঝা! কন্যার বিয়ে দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব দায় এড়ানো যায়। সেই পথেই হাওড়া সাঁকরাইল রামচন্দ্রপুরের ব্যানার্জি পরিবার। মেয়ের ১৮ বছর পূরণ হতে প্রায় দুই বছর অপেক্ষা করতে হবে। এদিকে বাড়িতে সম্বন্ধে এসেছে মেয়ের, সাত-পাঁচ না ভেবেই মেয়ের বিবাহ তোড়জোড় শুরু পরিবারের।অধিকারীদের তরফ থেকে নাবালিকা সংগীতার বিবাহ স্থগিতের নির্দেশ কঠোরভাবে। বিবাহ স্তগিত নিশ্চিত করতে পরিবারের তরফ থেকে মুচলেকা গ্রহণ করেন আধিকারিকরা।পাশাপাশি ওই পরিবারের স্বাস্থ্য সাথী, লক্ষীর ভান্ডার সহ বিভিন্ন সরকারি না-পাওয়া সুযোগ সুবিধা নিজে হাতে সুব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস সাঁকরাইল বিডিও নাজিরুদ্দিন সরকারের এবং তিনি পঞ্চায়েত প্রধানকে নির্দেশ দেন আগামী দিনে সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত না-হয় ওই পরিবার।