|
---|
রামিজ আলি : গল্পটি, মূলত নারীকেন্দ্রিক,১৮৮০ সাল নাগাদ যার পটভূমিকা নির্মান করা হয়। এতে দুজন মহিলা এবং একজন পুরুষ মূল কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে উঠে আসে।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্যাখ্যা করেছেন যে প্রেম হল একটি মায়া গোলকধাঁধা যা আমাদের ঘিরে থাকে। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মায়া কুমারীদের একত্রে গল্প বলার সাথে এক অস্বাভাবিক আনন্দের পরিবেশ তৈরি করেন। তারা নায়কদের মনে বিভ্রম সৃষ্টি করে।মায়ার খেলা একটি ত্রিকোণ প্রেমের গল্প, যা সখী সমিতি, একটি নারী কেন্দ্রিক থিওসফিক্যাল সমিতির জন্য সরলা রায়ের একান্ত অনুরোধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। এখানে কথক এবং পর্যবেক্ষক হলেন মায়াকুমারী, একটি বিভ্রম সৃষ্টি করার জাদুকরী ক্ষমতা সম্পন্ন জলপরী।
এইরকমই এক নৃত্যনাট্য মায়ার খেলা নিয়ে আবার মঞ্চে ফিরলেন বিশিষ্ট ওড়িশি নৃত্যশিল্পী ডোনা গাঙ্গুলি। দক্ষিণায়ন ইউকে এর উদ্যোগে দীক্ষামঞ্জরী এর নৃত্য পরিবেশনায় এই প্রয়াস ১৭ এপ্রিল রবীন্দ্রসদনে, ১৯ এপ্রিল জি.ডি.বিড়লা সভাঘরে অনুষ্ঠিত হলো।পরে প্রযোজনাটি পরিবেশিত হলো ইজেডসিসি-এর আমন্ত্রণে মোহর-বীথিকা অঙ্গনের সহযোগিতায় শান্তিনিকেতন সৃজনী শিল্পগ্রামে, ২৩ এপ্রিল সন্ধ্যায়। তিনটে জায়গাতেই মানুষের সাড়া ছিল নজর কাড়া।
করোনার নানা বিধি নিষেধ মেনে রিহার্সালে মাস্ক পড়ে উপস্থিত হন সব অংশগ্রহণকারী নৃত্যশিল্পীরা। জোড় কদমে চলেছে রিহার্সাল গানের দলের সঙ্গে। গানের দলে উপস্থিত বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী এবং এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ডা: আনন্দ গুপ্ত।প্রায় দেড় ঘন্টার এই নৃত্যনাট্যে ডোনা গাঙ্গুলি নৃত্য পরিবেশন করেন দীক্ষামঞ্জরী এর ছাত্রীদের নিয়ে। ডোনা গাঙ্গুলি বললেন,” করোনা এখন আমাদের জীবনের সাথে চলবে। তাই বলে আমাদের কাজ আমরা করবোনা এমনটা তো চলেনা।তাই এই উদ্যোগে সামিল হওয়া।দক্ষিণায়ন ইউকে এর আমন্ত্রণে এই প্রযোজনায় আমাদের এই অংশগ্রহণ আসা করি সকলের ভালো লেগেছে।।প্রযোজনাটা এই বছর জানুয়ারি মাসেই করার কথা থাকলেও করোনার তৃতীয় ঢেউ এর কারণে পিছিয়ে দিতে হয়েছিল।তবে এবার তিনটে ভিন্ন মঞ্চে অনুষ্ঠিত হলো।ভালো লাগছে শান্তিনিকেতনেও করা হলো।” অন্যদিকে ডা: আনন্দ গুপ্ত বললেন,” অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল এই প্রোযোজনাটা আমরা করব।সেই হিসেবেই এগিয়েছি।দীক্ষামঞ্জরী এর শিল্পীদের নৃত্যের সাথে লাইভ গানে এই নৃত্যনাট্যটা খুব সুন্দর ভাবে পরিবেশিত হলো।” প্রমোদার চরিত্রে ছিলেন ডোনা গাঙ্গুলি, অমরের চরিত্রে রঘুনাথ দাস।অমরের চরিত্রে গান গাইলেন সঙ্গীত পরিচালক ডা: আনন্দ গুপ্ত।সঙ্গীত আয়োজনে ছিলেন সুব্রত বাবু মুখোপাধ্যায়।নৃত্য পরিচালনায় ডোনা গাঙ্গুলি।আলোয় দীনেশ পোদ্দার।তালবাদ্যে ছিলেন বিশিষ্ট যন্ত্রসংগীত শিল্পী বিপ্লব মন্ডল।