|
---|
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম:- প্রচন্ড গরমের দাবদাহের ফলে মানুষের জীবন জর্জরিত।জেলার বিভিন্ন স্থানের তাপমাত্রা কমবেশি ৪৪ ডিগ্রি।খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ীর বাইরে বের হচ্ছে না মানুষজন। এদিকে প্রখর রৌদ্রের তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে চলছে রোজা পালন তথা উপবাস।কয়েকদিন পরেই অনুষ্ঠিত হবে খুশির ঈদ।তার আগে প্রতি বছরের মতো এ বছরও মঙ্গলবার রাত্রিটা ছিল শবে কদরের রাত।যাহা এবাদত করার বিশেষ রাত রূপে চিহ্নিত।
এদিন সারারাত ধরে নমাজ, কোরআন তেলাওয়াত,দোয়া,ইত্যাদি পড়েন ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষেরা। তীব্র গরমের সময় ও রোজদাররা সারাদিন এই গরম সহ্য করে রাত্রে আবার বিশেষ নামাজ পড়ার জন্য বিভিন্ন মসজিদে মসজিদে হাজির হোন।সে দিনটাকে সামনে রেখে বীরভূম জেলার দুবরাজপুরের ইসলামপুর সদর মসজিদ কমিটির সদস্যরা লস্যি সহ দু’ধরণের শরবত ও ঠান্ডা জলের ব্যবস্থা করেন নামাজে অংশ গ্রহণ কারীদের উদ্দেশ্যে। পাশাপাশি রানিগঞ্জ মোরগ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের ড্রাইভার,খালাসিদের মধ্যেও ঠাণ্ডা লস্যি ও শরবত খাওয়ানো হয়। ইসলামপুর সদর মসজিদ কমিটির সদস্য আব্দুল হক জানান, আমরা প্রতি বছর আজকের দিনে এই ব্যবস্থা করে থাকি।কিন্তু এ বছর খুবই গরম পড়েছে। তাই আমরা ঠাণ্ডা লস্যি ও দু’ধরণের শরবতের আয়োজন করেছি। গত বছর আমরা দিল্লির জামে মসজিদের মতো মহব্ব্তে শরবত বিতরণ করেছি। যাঁরা নমাজ পড়তে আসছেন তাঁদের এবং যাঁরা ট্রাক ও বাসে করে যাচ্ছেন তাঁদেরও আমরা এই শরবত বিতরণ করছি। আমরা কয়েক হাজার মানুষকে ঠান্ডা লস্যি ও শরবত বিতরণ করছি। এই মহৎ কাজ শ্রম দিয়ে সফল করেছেন মীর নূর হোসেন, সেখ মালেক, সেখ সবিউল, সেখ কাজল সহ ইসলামপুর সদর মসজিদ কমিটির সদস্যরা।