জানেন কি বীরভূমের মাসিমাকে??

মহঃ রিপন, নতুন গতি : জানেন কি বীরভূমের মাসিমাকে??যিনি ইংরেজদের মনে ভীতির কারন ছিল! বীরভূমের মাসিমা প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি অস্ত্র আইনে দন্ডিত হন।যিনি দুধের শিশুকে রেখে জেলে যান।কে তিনি??জানতে হলে পড়ুন।

    ২১ জুলাই ১৮৮৭ সাল তখন দেশজুড়ে চলছে মহাবিদ্রোহের দামামা। সেই সময়ই স্বাধীনতার আন্দোলনে এগিয়ে আসে বীরভূমের মাসিমা দুকড়ি বালা দেবী বীরভূম জেলার ঝাউপাড়া গ্রামে জন্ম। স্বামীর নাম ফনিভূষন চক্রবর্তী।

    দুকড়িবালা দেবীর বোনপো নিবারণ ঘটক ছিলেন সশস্ত্র বিপ্লববাদী। তারই প্রভাবে দুকড়িবালা দেশের কাজে এগিয়ে আসেন। বিপ্লবী দলে ‘মাসীমা’ নামে পরিচিত ছিলেন। ১৯১৪ সালে কলকাতায় বিপ্লবী বিপিনবিহারী গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রডা কোম্পানীর মাউজার পিস্তল ও তার কার্তুজের ৫০ টি বাক্স লুট হয়। তার কিছু আসে নিবারন ঘটকের কাছে, তার দেওয়া সাতখানি মাউজার পিস্তল ও কার্তুজ নিজের হেফাজতে লুকিয়ে রাখেন দুকড়িবালা। পুলিশ খবর পেয়ে ৮ জানুয়ারি ১৯১৭ সালে তার বাড়ি তল্লাশি চালায় এবং দুকড়িবালা দেবী গ্রেপ্তার হন। কোলের শিশুকে ছেড়ে তাকে জেলে যেতে হয়।

    তিনি বহু বিপ্লবীদের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন,রাতে ভাত রান্না করে খাওয়াতেন নিজের হাতে। ১৯১৮ সালে ডিসেম্বর মাসে তিনি জেল থেকে মুক্তি পান। উল্লেখ্য, দুকড়িবালা দেবীই পরাধীন ভারতে অস্ত্র আইনে দন্ডিতা প্রথম মহিলা।তিনি প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি বিনাদোষে জেলে খাটেন। ১৯৭০ সালের ২৮শে এপ্রিল দুকড়িবালা দেবী মারা যান।