|
---|
মালদা, ৯ ডিসেম্বর: ধর্ষণ করে এক যুবতীকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় মালদার কোতুয়ালি এলাকার অভিযুক্ত বাপন ঘোষকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল মালদা আদালত। বৃহস্পতিবার বাপন ঘোষ ওরফে ছোটন নামে ওই অভিযুক্তকে দোষী প্রমাণিত করে তার বিরুদ্ধে ৩৭৬, ৩০২ এবং ২০১ ধারায় সাজা ঘোষণা করে মালদা অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন জাজ পঞ্চম কোর্টের বিচারপতি অসীমা পাল বলে জানিয়েছেন সরকারি পক্ষের আইনজীবী তীর্থ বসু।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর ইংরেজবাজার থানার কোতুয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একটি নির্জন আমবাগান থেকে এক যুবতীর অর্ধনগ্ন অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার হয় । প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে মৃত ওই যুবতীর নাম ঝুমা দে (২৪)। তার বাড়ি শিলিগুড়ি । সেখানেই একটি পপকর্ন কারখানায় ওই যুবতী কাজ করতো। তার সঙ্গে কাজ করতো মালদার কোতোয়ালি গ্রামের বাসিন্দা বাপন ঘোষ । শিলিগুড়িতে কারখানায় কাজ করার সুবাদে ঝুমার সঙ্গে বাপনের আলাপ হয়। এরপর তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কয়েক মাস মেলামেশার পর ওই যুবতী বাপন ঘোষকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু বাপন ঘোষ আগে থেকেই বিবাহিত ছিল। তার পরিবারে স্ত্রী ছাড়াও দুই নাবালক সন্তান রয়েছে। ওই যুবতীকে বিয়ে করতে পারবে না বলে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছিল অভিযুক্ত যুবক বাপন ঘোষ। এরপরে ওই যুবতী অন্য আরেক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে । এই বিষয়টি জানতে পেরেছিল বাপন। এরপর শিলিগুড়ির ওই যুবতীকে মালদায় বিয়ে করার নাম করে নিয়ে আসে অভিযুক্ত যুবক বাপন। কোতোয়ালি এলাকার একটি নির্জন আমবাগানে ওই যুবতীকে ধর্ষণ করার পর আগুন লাগিয়ে খুন করে অভিযুক্ত বাপন ঘোষ। ৫ ডিসেম্বর সকালে ওই যুবতী অর্ধনগ্ন অবস্থায় আমবাগান থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সরকারি পক্ষের আইনজীবী তীর্থ বসু জানিয়েছেন, শিলিগুড়ির ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার একটি অভিযোগ দায়ের হয় । ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পুলিশের কাছে সে বিষয়টি উঠে আসে। এরপরই বাপন ঘোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে শুরু হয় মামলা। তিনটি ধারায় মামলা করা হয় । ২১ জনের সাক্ষী নেওয়া হয় । এরপরই অভিযুক্ত বাপন ঘোষকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে।