১৫ই অক্টোবর থেকে লোকাল ট্রেন চালু হতে চলেছে এমনই আসা দেখালো রেল দপ্তর

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: আনলক ৫’এ খুলে গিয়েছে রেস্তোরাঁ, জিম, পার্ক। শহর ও শহরতলিতে ছুটছে মেট্রোরেল। ভিড় বাসে সোসাল ডিসট্যান্সিং এর মুখে ছাই দিয়ে ঝুলে ঝুলেই গন্তব্যে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। দিচ্ছেন অতিরিক্ত ভাড়া। আগামী ১৫ তারিখ থেকে সিনেমা হলও খুলতে চলেছে। ফলত: করোনা আবহে অনেক মুশকিল আসান হলেও লোকাল ট্রেন চালু না হওয়ায় এখনও রাগে ফুঁসছেন সাধারণ যাত্রীরা।

    ইতিমধ্যে স্পেশ্যাল লোকাল ট্রেনে চড়ার দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার স্টেশনে রেল অবরোধ করে যাত্রীদের বিক্ষোভ ক্রমশ অগ্নিগর্ভ রূপ নিচ্ছে। এবার সাধারণ মানুষের সেই দুর্দশার কথা জানিয়ে ১৫ তারিখ থেকে লোকাল ট্রেন চালানোর আবেদন করলেন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে এই মর্মে চিঠিও দিলেন। রেলমন্ত্রী কাছে কলকাতা ও তার আশপাশে দুর্গাপুজোর আগেই লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করার দাবিও জানালেন তিনি।

    সোমবার রেলমন্ত্রীকে পাঠানো সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তর চিঠিতে রয়েছে, ‘‌মার্চে লকডাউনের শুরু থেকে পশ্চিমবঙ্গে লোকাল ট্রেন, বিশেষ করে যেই ট্রেনগুলি শহরতলি ও জেলাগুলির সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ স্থাপন করে, তা বন্ধ হয়ে রয়েছে। জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে বাংলার বেশিরভাগ মানুষের ভরসা এই লোকাল ট্রেন। এতদিন ধরে যা বন্ধ থাকায় পেটে টান ধরেছে সাধারণ মানুষের। কষ্টে রয়েছেন তাঁরা। তাঁদের অধিকাংশকেই অতিরিক্ত খরচ করে এই করোনা পরিস্থিতিতে ভিড় বাসে যাতায়াত করতে হচ্ছে।’‌

    ইতিমধ্যে দেশের সর্বাধিক আক্রান্তের শহর মুম্বাই এ ১৫ অক্টোবর থেকে পুরোদমে পরিষেবা চালু করতে চলেছে রেল। সাংসদ সেই কথা উল্লেখ করে রেলমন্ত্রীর কাছে অক্টোবরের শেষের দিকে, তবে দুর্গাপুজোর আগেই কলকাতা ও তার আশপাশে লোকল ট্রেন পরিষেবা চালু করার আর্জি জানান। এর পাশাপাশি তিনি চিঠিতে লিখেছেন, ‘‌আপনার কাছে আবেদন, যত দ্রুত সম্ভব পশ্চিমবঙ্গে পুরোদমে লোকাল ট্রেন চালানোর জন্য যা যা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। অবশ্যই সে ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে সাধারণ যাত্রীদের।’‌

    দেখা যাক এই বিষয়ে রেল মন্ত্রী কী বক্তব্য পেশ করেন। তবে সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকা বাঁচিয়ে রাখার জন্যে লোকাল ট্রেন চালানো ভিশনভাবে জরুরী।