|
---|
উজির আলী,নতুনগতি,মালদা ঃ “কে জানে কার জীবন কোথায় থামে !, আচ্ছা, আপনিই বলুন তো আমার এই বৃহত্তর পরিবারের অসংখ্য মানুষ যদি অনাহারে কাটায় তাহলে আমি ফিরে গিয়ে বিচারের দিনে কি জবাব দেব” | কথাগুলো আবেগ মিশ্রিত কন্ঠে বললেন রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরে কর্মরত বছর ত্রিশের আশিক-ই-রহমান |
হ্যাঁ, আমি কোন ক্রোড়পতি বা লক্ষপতির
কথা বলছি না আমি বলছি এক সাধারন বঙ্গ সন্তানের অসাধারণ কাহিনী যিনি ছুটছেন রাজ্যের এ কোনা থেকে ও কোনায়, মাসিক বেতনের সঞ্চিত টাকাই যার সম্বল, প্রত্যেক মানুষ যাতে একমুঠো খেতে পায় এটাই যার একমাত্র বাসনা |
একনাগাড়ে তিনি করে চলেছেন সাহায্য, দিয়ে চলেছেন অসংখ্য ত্রাণ | এই দূরাবস্থা অনুভব করে তিনি এগিয়ে এসেছেন এবং সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।ভারতবর্ষের বহু রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের তিনি নানান ভাবে সাহায্য করছেন।নিজের উদ্যোগে ভাড়া বাড়ি থেকে বহিষ্কৃত কিছু ডাক্তার,স্বাস্থ্যকর্মীদের নিখরচায় থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
শুধুমাত্র কলকাতায় নিজের এলাকা পার্কসার্কাস নয়,মালদার চাঁচল সহ মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। এ যাবত প্রায় ১৫০০০ টি পরিবারের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন তিনি। রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও তিনি ত্রাণ নিয়ে ছুটে যাবেন বলে আমাদেরকে জানান |