|
---|
উজির আলী, নতুন গতি,চাঁচল: ২৪ শে মার্চ
রাজনৈতিক ধর্মঘট সফল হলেও লকডাউনের প্রভাব পরছে না মালদহের চাঁচলের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে।
রাজনৈতিক দলগুলি ধর্মঘট ডাকলে দোকান পাট,হাট-বাজার গনপরিবহন, রূখতে মরিয়া ধর্মঘট সমর্থক কর্মীরা। এমনকি চলে লাঠিসাটা খুনোখুনি। শুধু বন্ধ সফলের খাতিরতায়। তবে আজ অদেখা সেই মানুষ গুলোকে। সরকার জনসাধারণের স্বার্থ করোনা প্রকোপ বিলুপ্ত করতে ডাক দিয়েছেন লকডাউন/তালাবদ্ধ।
সোমবার বিকেল ৫ টা থেকে সরকারি নির্দেশে জারি হয়ে তালাবদ্ধ মানে লকডাউন। তার সাথে মালদা সদর সহ জেলার গ্রামীন এলাকাগুলিতে লকডাউনের ঘোষণা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে। সবদিক থেকে আটঘাট বেঁধে প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে কাজ করে চলেছেন।
সমাজকে সুস্থ রাখতে তৎপর রয়েছে রাজ্য সরকার সহ পুলিশ প্রশাসন।
করোনা ভাইরাসের প্রকোপ যাতে না ছড়ায় সেইজন্য লকডাউন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন রাজ্য সরকার সবারই জানা।
বাদ পড়েনি মালদা জেলার চাঁচল থানা এলাকা। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে দেখা গেল অন্য চিত্র। এদিন মালদা জেলার চাঁচল থানার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে আর কয়েকটা দিনের মতো সাধারন মানুষদের চলাফেরা করতে বাজারহাট করতে দেখা গিয়েছে জনবহুল। দৈনিক বাজারগুলিতে দেখা গিয়েছে উপচে পড়া ভিড়।
খোলা চায়ের দোকান, কোথাও বা খোলা সেলুন। এছাড়াও খোলা রয়েছে এলাকার কয়েকটি ইটভাটা যা শ্রমিকদের উপস্থিতিথে চলছে কাজ। তবে রেশন দোকানগুলি অন্যদিনের থেকে বেশী সময় ধরে খোলা রাখছে বলে খবর। যদিও প্রশাসনের রূট মার্চ করে দীর্ঘক্ষন না খোলার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে লকডাউনে
মানুষজন ছুটির মেজাজে দিন কাটাচ্ছে। করোনা ভাইরাস এর আতঙ্কের কোন প্রকোপ নেই গ্রাম্য জীবনে বলাবাহুল্য।
তবে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পুলিশ প্রশাসনের মাথায়। পূর্বের মতোই চাঁচল থানার বিভিন্ন রাস্তায় দেখা গিয়েছ জনবহুল চলাচল।
সমাজে একপ্রকার পোকা রয়েছে তারা সরকারের আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দাপটে ঘোরাফেরা করেছে বলে দাবী গৃহবন্দীদের। কোনো ব্যক্তি আইন অমান্য করলে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হবে সঙ্গে হবে জরিমানা প্রশাসন সূত্রের খবর।
শত প্রচার, শত বিজ্ঞপ্তি দিয়েও রমরমা জনবহুল গ্রাম্য এলাকা।
প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কার্যত লকডাউন কে ব্যর্থ করতে নেমেছে জনগণ।
মঙ্গলবারের চিত্রানুযায়ী বলা যায় কিছু মানুষ মরতে চায়। গ্রাম্য সমাজ অসচেতন দাবী লকডাউন গৃহবন্দীদের।
পুলিশ যথারীতি সক্রিয় রয়েছে। বিবেচনা করে বলা যায় ৪০০-৫০০ গ্রামে কি সম্ভব পুলিশের টহল দেওয়া। নিজেকে প্রশ্ন করূন সচেতন হন?
এখন দেখার বিষয় লকডাউন কে চূড়ান্ত রূপ দিতে চাঁচল থানা কি পদক্ষেপ নেয়। অবাধ্য জনগণকে ঘরমুখী করতে পারে কিনা সেটাই দেখার অপেক্ষায় রয়েছে সচেতন গৃহবন্দীরা। যদিও ক্লান্ত ও পরিবার ছেড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্তব্যরত সিভিক,গ্রামীন ও সমস্ত পুলিশ প্রশাসন।