লন্ডনের ডা: আনন্দ গুপ্তের রাজা রামমোহন এ মুগ্ধ গায়ক অভিজিৎ আমন্ত্রণ নিজের পুজোয়

নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজা রামমোহন রায়ের ২৫০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দক্ষিণায়ন ইউকে আর রবীন্দ্র কিশোর সরকারের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো এক অনন্য শ্রদ্ধাজ্ঞলি সন্ধ্যা ‘চরণরেখা তব'( মিসটিক ফুটপ্রিন্টস)। এই অনুষ্ঠানের মূল ভাবনা দক্ষিণায়ন ইউকে এর প্রধান ডা: আনন্দ গুপ্তের। সঙ্গীতে রাজা রামমোহন রায়ের একেশ্বরবাদের যে চিন্তা-ভাবনা ওঁনার ছিল তা তিনি সঙ্গীতের মাধ্যমে যে ভাবে প্রচার এবং প্রসার ঘটিয়েছিলেন এই সন্ধ্যার মূল ভাবনা তারই কথা বলে। রবীন্দ্রনাথের উপর রামমোহনের এই ঈশ্বর ভাবনার কি ভাবে প্রভাব পড়ে তা গানে,কথায় তুলে ধরেন ডা: আনন্দ গুপ্ত। এই অনুষ্ঠানে গানের সাথে ভারতীয় নৃত্যের নানা ধারার মিলন ঘটে। কলকাতার বিশিষ্ট যন্ত্রসংগীত শিল্পীদের পরিবেশনায় এই অনুষ্ঠান অন্য মাত্রা পায়।রাজা রামমোহন রায় রচিত ব্রহ্মসঙ্গীত গুলোর মধ্যে প্রাণ সখা হে ( নৃত্যে সঙ্গীতা মজুমদার), বিপদ ভয় বারণ ( নৃত্যে সোমা ঘোষ ), ভয় করিলে যাঁরে ( নৃত্যে সদানন্দ বিশ্বাস ), রবীন্দ্রনাথ নাথের গান জীবন যখন শুকায় যায় -তে ছৌ নৃত্যের ধারায় রাকেশ সাঁই এর নৃত্যের দল নজর কাড়ে। সমগ্র অনুষ্ঠানটার ভাষ্যে ছিলেন আভেরী চৌরে, ডা: আনন্দ গুপ্ত। যন্ত্রসংগীতে পন্ডিত বিপ্লব মন্ডল( তালবাদ্য ), পন্ডিত সুব্রত বাবু মন্ডল ( কিবোর্ড ), উস্তাদ আরশাদ খান( এস্রাজ ), উস্তাদ ফতেহ আলি খান ( সেতার) অনুষ্ঠানের সুর অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়।

    সব শেষে ছিল বিশেষ অতিথিদের মধ্যে জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী অভিজিৎ ভট্টাচার্যের উপস্থিতি। শিল্পী বলেন,” আমি এরকম একটা পরিবেশনা দেখে মুগ্ধ।আমি আমাদের দুর্গা পুজোর অনুষ্ঠানে এই বিশেষ অনুষ্ঠানটা করতে ইচ্ছুক।ডা: গুপ্তকে আমি আমন্ত্রণ জানাই।” ডা: আনন্দ গুপ্ত বললেন, ” এই অনুষ্ঠান দিল্লি, কলকাতা, হিমাচল প্রদেশ, লন্ডনেও হবে। এই দুই দিকপাল মানুষের কাজ নিয়ে আরো আলোচনা হওয়া উচিৎ।”