|
---|
মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, নতুন গতি ডেস্ক:
আজ ছিলো মাধ্যমিকের ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষা। শুধু সময়ের অপেক্ষা সাতে, সাত। এ রাজ্যে চলছে পরীক্ষা ব্যবস্থার নামে প্রহসন । এর আগের পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষা যথাক্রমে বাংলা, ইংরাজি এবং ইতিহাসে,ভূগোল ও অংক প্রশ্ন পত্র ফাঁসের মতো ঘটনা ঘটেছে। ভৌতবিজ্ঞানের প্রশ্নও ফাঁস হয়ে গেল এদিন! সূত্রের খবর ১২ঃ৩০ মিনিট নাগাত প্রশ্নপত্র ঘুরতে শুরু করে মোবাইলে মোবাইলে।
নতুন গতি দফতরেও এসে পৌঁছেছে সেই ‘লিক’ হওয়া প্রশ্নপত্র। এই সরকারের আমলে বহুবার প্রশ্ন ফাঁস হবার অভিযোগ উঠেছে কিন্তু লাগাতার ছয়দিন দিন অর্থাৎ মাধ্যমিক স্ট্যান্ডার্ডের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের মত ঘটনা পশ্চিমবঙ্গ কেন ভারতের ইতিহাসেই সম্ভবত কোনদিন ঘটেনি।
পরীক্ষা শুরুর আগে বেশ কিছু সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল মধ্য শিক্ষা পর্ষদ, কিন্তু তাতে যে সেরকম কাজ হয়নি তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। কি কি ছিল সেই নিয়ম? পরীক্ষার্থীদের জন্যে নিয়মঃ কেউ মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবে না। মোবাইল ধরা পড়লে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না। খাতা RA করা হবে এবং পরীক্ষার পর ধরা পড়লে উত্তরপত্র RA করা হবে।
শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারী-দের জন্যে নিয়মঃ মোবাইল সুইচ অফ করে প্রধান শিক্ষকের ঘরের আলমারিতে রাখতে হবে। যার চাবি থাকবে প্রধান শিক্ষকদের কাছে।
মোবাইল ব্যবহার করতে পারছেন শুধুমাত্র সেন্টার সেক্রেটারি, অফিস ইনচার্জ, ভেনু ইনচার্জ, ভেনু সুপারভাইজার, ভেনু অ্যাডিশনাল সুপারভাইজার! এত সবের পরেও ঠেকানো গেলনা প্রশ্নপত্র ফাঁস। তবে গাফিলতি কার? এতো সর্ষের মধ্যেই ভূত!! সোশ্যাল মিডিয়ায় শিক্ষা দফতরের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে কটাক্ষ। নিশানা থেকে বাদ জাচ্ছেন না খোদ শিক্ষামন্ত্রীও।
প্রশ্ন উঠছে কি ভাবে পরীক্ষা গ্রহন চলছে? কেমন ভাবেই বা দেওয়া হচ্ছে গার্ড? তবে কি ইচ্ছাকৃত ভাবে সর্বসম্মতিতেই ঘটছে প্রশ্ন ফাঁসের মত ঘটনা?