মাধ্যমিকে অতীতের ধারাবাহিক সাফল্য বজায় রাখলো জি. ডি. স্টাডি সার্কেল

নিজস্ব সংবাদদাতা : পতাকা শিল্প গোষ্ঠীর কর্ণধার ও পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা আন্দোলনের পুরোধা জনাব মোস্তাক হোসেন প্রতিষ্ঠিত জি. ডি. স্টাডি সার্কেলের পরিচালনায় জেলায় জেলায় চলতে থাকা ৫০টি মিশন স্কুল আছে। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় এই মিশনগুলি অতীতের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নজরকাড়া ফল করেছে। মিশনগুলির মধ্যে প্রথম স্থান ও রাজ্যে ১৬তম স্থান অধিকার করেছে মামুন ন্যাশনাল স্কুলের ছাত্রী সুহানা মোল্লা (৬৭৭)। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমান এবছর গার্লস মিশনগুলির সাফল্য লক্ষ্যণীয়। জেলার মেমারির সুলতানপুরে। বাবা রুহুল আমীন মোল্লা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সুহানা মোল্লা পঞ্চম শ্রেণী থেকে জি. ডি. স্কলারশিপের সাহায্যে পড়াশোনা করছে। সে ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে দেশ ও দশের সেবা করতে চায়।

    দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে শিশু সদন হাইস্কুলের কাজী সাকিলুর রহমান (৬৭৫), পিতা কাজী মতিউর রহমান, পেশায় চাকুরিজীবী, নিবাস হুগলী জেলার চণ্ডীতলা থানার বাঁদপুরে।

    তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে মালঞ্চ মিশনের মহঃ জসিমউদ্দিন সেখ (৬৭৪)। দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার মন্দির বাজার থানার টেকপাঁজা গ্রামের মহঃ সাইদুল্লাহ সেখের পুত্র।

    চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে রহমত এ আলম মিশনের আবু সোহেল মণ্ডল (৬৬৯)। যুগ্মভাবে চতুর্থ স্থান করেছে কালিয়াচক আবাসিক মিশনের মহম্মদ আরিপ (৬৬৯)। রহমত এ আলম মিশন থেকে ওসমান গণির পুত্র শাজাহান গণি পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে (৬৬৮) নম্বর পেয়ে।

    ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে মামুন ন্যাশনাল স্কুলের আরিফ মহম্মদ (৬৬৭)। ৬৬১ নম্বর পেয়ে যুগ্মভাবে সপ্তম স্থান অধিকার করেছে নবাবিয়া মিশনের সুকরিয়া ইয়াসমিন, মামুন ন্যাশনাল স্কুলের সুবাইতা পারভিন। অষ্টম স্থানে আছে মামুন ন্যাশনাল স্কুলের মহঃ আসিফ মল্লিক (৬৫৭), নবম স্থানে আছে ব্যাণ্ডেল গার্লস মিশনের শবনম মুস্তারিন (৬৫৬)। ৬৫২ নম্বর পেয়ে দশম স্থানে আছে সিদ্দিক-ই-আকবর মিশনের উম্মে সালমা খাতুন। ৬৫১ নম্বর পেয়ে একাদশ স্থানে আছে যথাক্রমে বেস আন নূর মডেল স্কুলের সোহায়েল জামিল, সিদ্দিক-ই-আকবর মিশনের ইমরান আনসারি ও আল আমিন ফাউণ্ডেশনের রোকিয়া খাতুন। তৌহিদ মিশন থেকে জাহির ইকবাল ৬৫০ নম্বর পেয়ে দ্বাদশ স্থান অধিকার করেছে।

    সকল কৃতি ছাত্রছাত্রী জি ডি স্কলারশিপের সহায়তায় পড়াশোনা করছে।

    উদ্যোগপতি মোস্তাক হোসেন সাহেব ও জি ডি মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান সেখ নুরুল হক সাহেব সকল কৃতি ছাত্র-ছাত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাদের আগামী জীবনের সাফল্য কামনা করেন।