মাধ্যমিকে দুর্দান্ত রেজাল্ট মামূন ন্যাশনাল স্কুলের

নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজ্যে ১৬তম স্থান করে নিল বালিকা শাখার সুহানা মোল্লা প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মাধ্যমিকে চমকপ্রদ সাফল্য অর্জন মামূন ন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের। বালিকা শাখার ছাত্রী সুহানা মোল্লা ৬৭৭ (৯৬.৭১%) নম্বর পেয়ে পশ্চিমবঙ্গ মেধাতালিকায় ১৬ তম স্থান অর্জন করে সকলকে চমকে দিয়েছে। তার বিষয়ভিত্তিক নম্বর হলো বাংলায় ৯৮, ইংরাজিতে ৯৭, গণিতে ৯০, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৯, জীবন বিজ্ঞানে ৯৮, ইতিহাসে ৯৫ ও ভূগোলে ১০০। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারির সুলতানপুরে। বাবা রুহুল আমিন মোল্লা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। মেয়েটি পঞ্চম শ্রেণি থেকে জি.ডি স্কলারশিপে এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতো। সে বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায়। এই শাখায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে সুবাইতা পারভিন। তার মোট প্রাপ্ত নম্বর ৬৬১ (৯৪.৪৩%, বাংলা ৯৫, ইংরাজি ৯০, গণিত ৯৮, ভৌতবিজ্ঞান ৯০, জীবন বিজ্ঞান ৯৯, ইতিহাস ৯৫ ও ভূগোল ৯৪)। সুবাইতার বাড়ি পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডালে। অন্যদিকে মেমারি বালক শাখার ফলাফল ও যথেষ্ট নজর কাড়া। এই শাখা থেকে এ বছর মোট ৫২ জন ছাত্র পরীক্ষায় বসে। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পায় আরিফ মহম্মদ। তার মোট প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৭ (৯৫.২৯%) এবং বিষয়ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বর- বাংলা ৯০, ইংরাজি ৯৩, গণিত ৯৮, ভৌত বিজ্ঞান ৯৮, জীবন বিজ্ঞান ৯৯, ইতিহাস ৯২ ও ভূগোল ৯৭। সে এই বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণি থেকে জি.ডি স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশুনা করে আসছে। আরিফ মহম্মদের বাড়ি বীরভূম জেলার নলহাটি থানার অন্তর্গত আমাইপুর গ্রামে। পিতা ওমর ফারুক একজন ক্ষুদ্র চাষী। এই শাখার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানাধিকারী মোঃ আসিফ মল্লিকের মোট প্রাপ্ত নম্বর ৬৫৭(৯৩.৮৬%) এবং বিষয় ভিত্তিক নম্বর বাংলা ৯৪, ইংরাজি ৯৩, গণিত ৯৬, ভৌতবিজ্ঞান ৯৩, জীবন বিজ্ঞান ৯৩, ইতিহাস ৯২ ও ভূগোল ৯৬। এই শাখার সার্বিক ফলাফল অত্যন্ত সুখকর। ৯০% ও তার অধিক নম্বর পায় ১৪ জন, ৮০% ও তার অধিক নম্বর পায় ৪০ জন, ৭৫% ও তার অধিক নম্বর পায় ৪৮ জন এবং ৭০% ও তার অধিক নম্বর পায় ৫২ জন ।

    বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ গোলাম আহমাদ মোর্তজা সাহেব এই পৃথিবীতে থাকলে আজ খুব

    তৃপ্তি অনুভব করতেন ।

    বিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান জনাব মোস্তাক হোসেন সাহেব সকল শিক্ষিকা, শিক্ষক, সদস্য এবং বিদ্যালয়ের অশিক্ষক স্টাফদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি সেক্রেটারি কাজী মুহাম্মাদ ইয়াসীনকে এই বার্তা পৌঁছনোর জন্য বলেছেন। বর্তমানে তিনি ভারতের বাইরে সফরে আছেন।

    বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকা ও স্টাফদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সম্পাদক কাজী ইয়াসীন। একই সঙ্গে একাডেমিক বিষয়ে দিক নির্দেশনা তথা সর্বপ্রকার উৎসাহ ও সহযোগিতার তিনি প্রাক্তন আই এ এস সেখ নুরুল হক সাহেব সহ জি ডি মনিটরিং কমিটির সকল সদস্যের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।